করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের পাশাপাশি আরও কিছু কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। তবে বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে আম বাজারজাত সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় বাড়তি বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘোষিত বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।
ঘোষণা অনুযায়ী বিধিনিষেধ
১. সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা, মৌসুমী ফল আম পরিবহন ও গণমাধ্যম বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।
২. ওষুধ, খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/ সৎকারের মতো অতি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণ করতে বের হওয়া যাবে।
৩. খাবারের হোটেল খোলা থাকবে। খাবার বিক্রি করা যাবে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই হোটেলের ভেতর ক্রেতা বসানো যাবে না।
৪. সব ধরনের শপিং মল বন্ধ থাকবে। অনলাইনে পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সরবরাহকারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবে।
৫. কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ক্রয়–বিক্রয় করা যাবে। স্থানীয় প্রশাসন বা বাজার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ৬. সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইন আমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৭. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি মসজিদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সমানসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনায় অংশ নিতে পারবেন।
৮. আমের আড়ত বা বাজার পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে আড়তদারের মাধ্যমে ক্রয়–বিক্রয় করা যাবে। বাগান থেকে ট্রাকে করে পাঠানো যাবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও আম পরিবহন করা যাবে। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
৯. আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি সেবা যেমন কৃষি উপকরণ (সার, বিষ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট (সরকারি/ বেসরকারি), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসহ, তাদের কর্মচারী, যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে বলে রাজশাহী জেলা প্রশাসন থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।