fbpx

রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রায় বহাল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ।

আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয় গত ১৬ মার্চ। শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ এপ্রিল ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। সে অনুসারে আজ সকালে রায় দেওয়া হলো।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র ও পরে বিভাগীয় সহকর্মী মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। অপর দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই দুজন হলেন জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম ও সালামের আত্মীয় নাজমুল।

আসামিরা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল ও জেল আপিল করছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে হাইকোর্টে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। অষ্টম দিনে গত ১৬ মার্চ শুনানি শেষ হয়।

আপিল বিভাগে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে  ২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তাহের আহমেদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ মতিহার থানায় মামলা করেন।

২০০৮ সালের ২২ মে মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে একই বিভাগের এক শিক্ষকসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দুজনকে দেওয়া হয়  বেকসুর খালাস।

আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এছাড়া ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল উক্ত আপিলের উপর হাইকোর্ট রায় দেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply