fbpx

রাষ্ট্রপতিকে ইসি গঠনে ওয়ার্কার্স পার্টির ৬ প্রস্তাব

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের আগে সংবিধানের নির্দেশনা অনুসারে এ সংক্রান্ত আইন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। এ নিয়ে দলটি পরপর তিনবার একই প্রস্তাব দিল।

আজ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে সংলাপের পঞ্চম দিনে অংশ নিয়ে এসব দাবি ও প্রস্তাব দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল আজকের এ সংলাপে অংশ নেয়।

রাষ্ট্রপতিকে ইসি গঠনে ওয়ার্কার্স পার্টির ৬ প্রস্তাব

ছবি: পিআইডি

নির্বাচন কমিশন আইন তৈরির প্রস্তাবের পাশাপাশি সার্চ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কার্যকরী কমিটি গঠন, দুইজন নারী সদস্য রাখার প্রস্তাবসহ মোট ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের আইন প্রণয়ন এক দিনেই হয়েছে। অতএব, ইসি গঠনে আইন প্রণয়নে এখনো সময় আছে। নতুন বছরে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই বিল উত্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে দলটি।

সংলাপ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিও নির্বাচন কমিশন আইনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিতে পারেন। সাবেক সিইসি শামসুল হুদার আমলে আইনের একটি খসড়া তৈরি করাই আছে। ওই খসড়াটি ধরেই আইন প্রণয়ন সম্ভব।

রাশেদ খান মেনন জানান, রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে কিছু বলেননি। সার্চ কমিটিতে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের রাখার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো নাম প্রস্তাব করা হয়নি। তাদের কাছে কারো নামও চাওয়া হয়নি।

নির্বাচনকে টাকার খেলায় পরিণত না করে এমন একটা কমিশন যারা স্বাধীনভাবে কমিশন পরিচালনা করতে পারবে, তা গঠন করতে অনুরোধ করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

আজকের সংলাপে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমেদ বকুল, কামরুল আহসান, আলী আহমেদ এনামুল হক ও নজরুল ইসলাম হাক্কানী।

এ পর্যন্ত মোট সাতটি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু, তাদের মধ্যে মাত্র ৯টি দলের সংসদে প্রতিনিধি রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply