fbpx

রাহেলার পাশে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ফাউন্ডেশন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কামরাঙ্গীরচরের রাহেলা বেগম। ভাড়ায় থ্রি হুইলার গাড়ি চালিয়ে রোজগার করেন। তার সংগ্রামী জীবন নিয়ে দেড় বছর আগে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস বাংলা। প্রতিবেদনটি চোখে পড়ে বিবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের। তার নিজের নামে গড়া ফাউন্ডেশন পাশে দাঁড়ায় রাহেলার।

ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি থ্রি হুইলার দেওয়া হয় রাহেলা বেগমকে। ৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে রাহেলা বেগমের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ির চাবি তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনিরা নোমান। অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারও উপস্থিত ছিলেন।

বিবিএস বাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে সংগ্রাম করে বড় হয়েছি। এজন্য সংগ্রামী মানুষের জন্য আমার আলাদা সম্মান কাজ করে। রাহেলা বেগম সহজ কোন কাজ বেছে না নিয়ে পুরুষদের মতো গাড়ি চালানোর সাহসী কাজ বেছে নিয়েছেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন। স্বামীর অবহেলার উপযুক্ত জবাব দিয়ে সন্তানদের বড় করবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই চ্যালেঞ্জকে আমি সম্মান জানাই।’

থ্রি হুইলার গাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পেছনের ব্যানারে নিজের ছবি দেখে অবাক হয়েছেন রাহেলা বেগম। অদম্য, সাহসী রাহেলা বেগম ধারের টাকা শোধ করতে না পেরে একটা সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন। পরে সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আত্মহত্যা না করে আত্মনির্ভরশীল হয়েছেন। সংসারের হাল ধরতে, একটু বেশি টাকা রোজগারের জন্য গত ৫ বছর ধরে চালিয়েছেন পায়ে চালিত রিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, থ্রি হুইলার।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনিরা নোমান বলেন, ‘শত শত শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার খরচ, প্রতিবছর বৃত্তি প্রদান ছাড়াও অসহায়, গরীব মানুষকে সহযোগীতা করে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ফাউন্ডেশন। রাহেলা বেগমের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমার ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। মেয়েরা গাড়ি চালায়, কিন্তু সেটা প্রাইভেট কার বা কোন কোম্পানির গাড়ি। এরকম এলাকার গলিতে থ্রি হুইলারের মতো গাড়ি চালাতে খুব একটা দেখা যায় না। রাহেলা বেগমের এই যাত্রাকে সহজ করতে ফাউন্ডেশন এবং আমি নিজে গর্বিত।’

রাহেলা বেগম ভাবতেই পারেননি নিজের একটা গাড়ী হবে। প্রতিদিনের আয় থেকে এখন আর গাড়ীর মালিককে ভাগ দিতে হবে না। নিজের গাড়ীর আয়ে সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন বুনছেন রাহেলা।

রাহেলার পাশে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ফাউন্ডেশন

গাড়ী পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাহেলা বেগম

উচ্ছ্বসিত রাহেলা বেগম বলেন, ‘আমি কখনো ভাবতেই পারিনি, আমার নিজের একটা গাড়ি হবে। প্রতিদিন যে টাকা কামাই তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খাই, টাকা জমিয়ে গাড়ি কেনার কথা তো চিন্তাই করতে পারি নাই। মুনিরা ম্যাডাম আর নোমান স্যার যে উপহার আমাকে দিলেন, তা পেয়ে আমি খুবই খুশি। এই গাড়ি চালিয়ে আমি আমার সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করবো। তাদেরকে পড়াশোনা করাবো। প্রতিদিন যে টাকা আমি গাড়ির ভাড়া বাবদ জমা দিতাম, সেটা জমিয়ে আমি আমার সন্তানদের জন্য কিছু করবো।’

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ব্যাটারি চালিত তিন চাকার অটো গাড়ির স্বপ্নপূরন হয়েছে রাহেলার। এবার এই গাড়ি অবলম্বন করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন সংগ্রামী রাহেলা। নিজের টাকায় কিনতে চান চার চাকার প্রাইভেট কার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply