fbpx

রিজার্ভের সমস্যা নাই, ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা আছে: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের রিজার্ভের কোনো সমস্যা নাই। অনেকে বলে ব্যাংকে টাকা নাই, এ কথাটা মিথ্যা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবীতে আজকে অর্থনৈতিক মন্দা। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা অর্থনীতিকে এখনো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমি দেখি, কেউ কেউ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। রিজার্ভের কোনো সমস্যা নাই। অনেকে বলে ব্যাংকে টাকা নাই, কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তোলে। ব্যাংকের টাকা তুলে ঘরে রাখলে তো চোরে নিয়ে যাবে। চোরের জন্য সুযোগ করে দেওয়া। ব্যাংকে টাকা নেই এ কথাটা মিথ্যা। গতকালও আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ মিটিং করেছি। আমাদের এ বিষয়ে কোনো সমস্যা নাই, প্রত্যেকটা ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা আছে।

তিনি বলেন, আমাদের রেমিট্যান্স আসছে, বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে। আমদানি-রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের অন্য দেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, নিজেরা অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে, বাংলাদেশ এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী আছে। আজকে আমরা ধান উৎপাদনে সারা বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে, খাদ্য উৎপাদন আমরা করে যাচ্ছি। সবজি উৎপাদন করছি। এই যশোর সব সময়, একদিকে যেমন খেজুর গুড়ের দেশ আবার ফুলে ফুলে শোভিত, ফুল উৎপাদনেও যশোর ১ নম্বরে আছে। আমরা কৃষকের সব রকম সুযোগ করে দিচ্ছি। ১০ টাকায় তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি। ২ কোটি কৃষক সেই কার্ড পায়। ১ কোটি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। তাদের টাকা তাদের হাতে সরাসরি চলে যায়। ৯০ টাকায় সার কিনে মাত্র ১৬ থেকে ২২ টাকায় সেই সার আমরা কৃষককে দিচ্ছি। কৃষি উপকরণের কোনো অসুবিধা যাতে না হয় তার ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি।

রিজার্ভের সমস্যা নাই, ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা আছে:  প্রধানমন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে আগামী দিনে আরও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত দিনেও দেশের উন্নয়ন করেছি, আপনারা সুযোগ দিলে আগামী দিনেও উন্নয়ন করবো। কাজেই ওয়াদা দেন, আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন।’

যশোরে জনসভা করতে পেরে আমি আনন্দিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যশোরে আমার নাড়ির টান আছে। এখানের মাটিতে আমার নানা শেখ জহুরুল হক শুয়ে আছেন। তিনি যশোরে চাকরি করতেন। আমার মায়ের বয়স যখন তিন বছর ছিল তখন তিনি মারা যান। ওই সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই খারাপ ছিল, এর কারণে এখানে আসা যায়নি। তাই আমার নানাকে এখানে দাফন করা হয়েছে। এখানে আমার নানার স্মরণে আইটি পার্ক করা হবে।’

যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়াম সংস্কার করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য যা যা দরকার আমাদের সরকার কাজ করবে। আমি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই। একইসঙ্গে আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই, আপনারা আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন। আপনারা যা চাইবেন, আমি তার চেয়ে বেশি দেবো।’

এর আগে দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply