মিয়ানমানের সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেইসাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যহত থাকবে বলে আশা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১ ফেব্রুয়ারি সোমবার, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও সংবিধান সমুন্নত রাখা হবে। মিয়ানমারের সাথে পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। সেই সাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছার ভিত্তিতে নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি যে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে ৮ তারিখ মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি এনএলডি নতুন সরকার গঠনের জন্য ৩৪৬ পার্লামেন্টারি আসন নিশ্চিত করে জয় পেয়েছিলো।
এ নির্বাচনের ফল নিয়ে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে বেশ কয়েকদিনি ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল এনএলডির নেতাকর্মীদের আটক করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
অং সান সু চি কে আটকের পর দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের হাতে।