fbpx

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সংবিধান ও আইনের ‘রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান’ মেনেই তিনি এ শপথ নেন।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে তিনি নতুন এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এরপর শপথনামায় সই করেন নতুন প্রধান বিচারপতি।

দেশের ত্রয়োবিংশতম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

শপথবাক্যে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, “প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা) করিতেছি যে, আমি আইন অনুযায়ী ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের কর্তব্য পালন করিব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব; আমি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান করিব; এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব।”

করোনার কারণে এবার প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়। দরবার হলে সর্বোচ্চ ৬০ জনের বসার ব্যবস্থা রাখা হয় ।

অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে নতুন প্রধান বিচারপতি নির্ধারিত পোশাকে দরবার হলে প্রবেশ করেন। এর খানিকক্ষণ বাদে সেখানে একসঙ্গে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।  রাষ্ট্রপতি শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়ালে নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।

দরবার হলে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক,পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, তিন বাহিনী প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, উচ্চ আদালতের দুই বিভাগের বিচারপতিসহ অন্যান্যরা।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে হাই কোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। এরপর ২০০৯ সালে তিনি হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন।

২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দুই বছর প্রধান বিচারপতির আসনে অধিষ্ঠিত থাকছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply