ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী ৭ জুলাই থেকে ২৭টি ই-গেট চালু হবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ও দ্রুত শেষ হবে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ‘স্বয়ংক্রিয় এই গেট চালু হলে বিদেশ থেকে আসা ও বিদেশগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় খুব কম সময় লাগবে। যাত্রীদের আর লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে।’
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ (ডিআইপি) সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল (এবিসি) ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে মোট ৫০টি ইলেকট্রনিক গেট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
গত বছরের জুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ই-গেট উদ্বোধন করলেও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ (ডিআইপি) সেগুলো ব্যবহার করতে পারেনি। ফলে ই-পাসপোর্টধারীদের ইমিগ্রেশন এখনো ম্যানুয়ালিই হচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্টের জন্য ই-গেট চালু করলো।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ জানিয়েছে, ই-গেটগুলো চালু হয়ে গেলে গেটের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরাটি ই-পাসপোর্টের চিপ থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীকে শনাক্ত করবে। ই-পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ই-গেটগুলো যাত্রীদের চিহ্নিত করবে। এই প্রক্রিয়ায় ভ্রমণের নথি যাচাইকালে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা বিমানবন্দরে একটি ঝামেলামুক্ত ইমিগ্রেশনের অভিজ্ঞতা পাবেন।
২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি) এবং জার্মানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ সংস্থা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের জন্য একটি চুক্তি সই করে। এই সংস্থাটির মাধ্যমেই ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট স্থাপন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।