fbpx

সক্রিয় রাজনীতি আর নয়: আবদুল হামিদ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সক্রিয় রাজনীতি আর নয়, অবসর জীবনে বাড়ি বসে লেখালেখি করবেন- জানিয়েছেন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিদায় নেন তিনি।

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণের পর বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবদুল হামিদ।

তার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, পরবর্তী জীবনে কী করবেন? জবাবে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি তো এখন রিটায়ার্ড হয়ে গেছি। দোজ হু আর টায়ার্ড, দে গো ফর রিটায়ার্ড। এখন বাড়ি বসে থেকে কিছু লেখালেখি করতে পারি। কিন্তু সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার পরিকল্পনা নেই। কারণ, দেশের মানুষ আমাকে এত বড় ইজ্জত দিয়ে দুই মেয়াদে দেশের সর্বোচ্চ পদে রাষ্ট্রপতি করেছে। সুতরাং আবার আমি রাজনীতি করা বা অন্য কোনো পদে যাব—এটা করলে এ দেশের মানুষকে আমি হেয় করব। সুতরাং সেটা আমি করব না।’

একজন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলতে ভালোবাসেন। বলছেন, ১০ বছর অনেকটা বেড়াজালের মধ্যে ছিলেন। এখন কীভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশবেন?

উত্তরে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি ১০ বছর বন্দী থাকলেও তাদের (সাধারণ মানুষ) প্রতি আমার ভালোবাসা ছিল না, তা নয়। সেটা ছিল। তবে কাছে গিয়ে সবার কাছে প্রকাশ করতে পারি নাই। এখন অনেকের কাছে সেটা প্রকাশ করতে পারব।’

নতুন রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আবদুল হামিদ বলেন, ‘ওনার সাংবিধানিক দায়িত্ব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন—এটাই সারা জাতির প্রত্যাশা এবং আমারও প্রত্যাশা।’

আবদুল হামিদ বলেন, এ উপমহাদেশেই আমার মনে হয় আমিই সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কারণ, ১০ বছর ছাড়াও আরও বোধ হয় ৪১ দিন বেশি আছে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়।’

বিদায়বেলা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি স্পিকার ছিলাম। আমার এখানে আশার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আমি আসছি আরকি। আমি পার্লামেন্টে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। কারণ, ওখানে নিজেকে মুক্ত বলে মনে হতো। আমি জানি যে এখানে এলে অনেকটা বেড়াজালের ভেতরে পড়ে যাব। যা-ই হোক, তবু ১০ বছর মোটামুটি পার করে ফেলেছি।’

আবদুল হামিদ স্বাধীন বাংলাদেশে সাতবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংসদে নিজের এলাকা কিশোরগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন। এছাড়া সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আসনে এখন সংসদ সদস্য হয়েছেন ছেলে রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply