fbpx

সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা ফরিদপুরে, বিকেলে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জানাজার পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।

তার সহকারী একান্ত সচিব মো. শফি উদ্দিন জানিয়েছেন, সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দার এম এন একাডেমি স্কুল মাঠে বেলা ১১টায় তার প্রথম জানাজা হবে। পরে কফিন নিয়ে আসা হবে ঢাকায়। বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আরেক দফা জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাজেদা চৌধুরীর জানাজা হবে বলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ রাতে জানিয়েছিলেন।

রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

৮৭ বছর বয়সী এই নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ফরিদপুর–২ আসন থেকে তিনি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন সাজেদা চৌধুরী। গত সপ্তাহে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ২০১৫ সালের নভেম্বরে মারা যান।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে এক শোকবার্তায় এ শোক জানানো হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ রায়হান গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর তার নির্বাচনী এলাকা নগরকান্দায় হবে দ্বিতীয় জানাজা। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

১৯৩৫ সালে সাজেদা চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। পঞ্চাশের দশকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাজেদা চৌধুরী বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর নবম জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply