সারাদেশে আজ রোববার (৩০ জুলাই) বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল জানান, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ আওয়ামী লীগ সারা দেশে সারাদিন প্রত্যেক উপজেলা- থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। দলের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও একই কর্মসূচি পালন করবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে জরুরি যৌথসভা থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এদিন বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা যা আশঙ্কা করেছি, তাই সত্যি হয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস-তারা এটাই চেয়েছিল। গতকালই তারা শুরু করত। আমাদের অবস্থান শক্ত ছিল।’
গত ২৮ জুলাইয়ে ‘আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সফল করায়’ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ গতকাল (২৮ জুলাই) রেকর্ড উপস্থিততে চেতনার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, নবজাগরণের সৃষ্টি করেছে। আমরা আশস্ত হয়েছি, আমাদের নেত্রীও গতকাল এই নবজাগরণ প্রত্যক্ষ করেছেন। আমাদের তারুণ্যের যে শক্তি আছে, সেটাতে আমাদের নেতাও খুশি হয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বলে তাদের কর্মসূচি দেখে আমরা কর্মসূচি দেই। তাদের কর্মসূচি হয়নি কিন্তু আমাদের হয়েছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘মাতুয়াইলে চারটি পরিবহনে আগুন দিয়েছে। পুলিশ ভ্যানেও হামলা করেছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার হামলা করেছে। সদরঘাটেও অগ্নিসংযোগ করে। রাজধানীতে মোট সাত বাসে অগ্নিসংযোগ-হামলা করেছে। ধোলাইখাল মোড়ে এসআই নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ওসি গোলাম মোস্তফাকে মারধর করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগ কর্মী মুহিবুর রহমান নয়নের উপর হামলা করে কবজি কেটে নিয়েছে।’
জরুরি যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।
