বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন সময়ে দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল।
সর্বশেষ গত ১৭ জুন এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ সকালে হাইকোর্টে বিএফআইউ-এর প্রতিবেদনটি জমা দেন সংশ্লিষ্টরা।
সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশীদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে গত ১০ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে।
ওই অর্থ নিয়ে নির্দিষ্ট করে সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার কেন তথ্য চায়নি, ১১ আগস্ট তা জানতে চান হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আজ এই হাইকোর্ট বেঞ্চে উল্লেখিত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে।
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, ২০২২ সালের জুনে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবিতে গত বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁয়ে। বাংলাদেশী ৯৫ দশমিক ৭০ টাকা প্রতি ফ্রাঁ হিসেবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটিতে, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ।