fbpx

সুন্দরী হয়েও কেন বিয়ে করার উপযুক্ত পাত্র পাচ্ছেন না এই গ্রামের নারীরা?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ব্রাজিলের নাম শুনলেই কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে, রোমারিও, রোনালদিনহো বা নেইমারের ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তবে শুধু ফুটবল নয়, সংস্কৃতি, আবহাওয়া বা দর্শনীয় স্থান- কোনটিতেই পিছিয়ে নেই লাতিন আমেরিকার এ দেশটি। সাম্বা নাচ, নানা ধরনের কার্নিভাল বা গহীন অ্যামাজন বন- ব্রাজিল সম্পর্কে আপনার জানার আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে।

এই ব্রাজিলেরই একটি প্রত্যন্ত গ্রাম, নোইভা ডো কোরডোইরো। গ্রামটি বেলো ভ্যালে পাহাড়ের একটি উপত্যকায় অবস্থিত, যার অর্থ ‘সুন্দর উপত্যকা’। রিও ডি জেনেরিও শহর থেকে গ্রামটি প্রায় ৩০০ মাইল উত্তরে অবস্থিত। গ্রামটি দেখতে যেন ছবি মতো সুন্দর। মিষ্টি কমলা জাতীয় ফল, কলা গাছ আর উজ্জ্বল হলুদ ফুলে ভরা গাছ, এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য গ্রামটির সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, গ্রামটি আরও একটি কারণে সবার কাছে পরিচিত। সেটি হলো এই গ্রামে বসবাসকারী নারীরা। নোইভা গ্রামে প্রায় ৬০০ নারী বাস করেন, যাদের মধ্যে তিনশোরও বেশির বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর এর মধ্যে। এরা সবাই বিবাহযোগ্য। কিন্ত বিধি বাম, সব ধরনের যোগ্যতা থাকলেও উপযুক্ত পাত্রের অভাবে গ্রামের নারীরা বিয়ে করতে পারছেন না।

নোইভা ডো কোরডোইরো গ্রামের সংস্কৃতি হলো- নারীরা বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে নয় বরং পুরুষরাই ঘরজামাই হয়ে বউয়ের বাড়িতে ওঠেন। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন। এরপর আবারও তাকে বেরিয়ে যেতে হয় গ্রাম থেকে। তবে বিভিন্ন উৎসব কিংবা অনুষ্ঠানে তাদের নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়।

শুধু তাই নয়, কৃষিকাজসহ ঘরের বিভিন্ন কাজেও স্ত্রীকে সাহায্য করার দায়িত্ব পুরুষেরই। আর সন্তানদের দেখভাল থেকে শুরু করে জীবিকা নির্বাহ সামলান ওই গ্রামের নারীরা। গ্রামে যদি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, তার বয়স ১৮ বছর হলেই, তাকে গ্রামের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এই গ্রামে কেনো এই অদ্ভুত রীতি, এর পেছনে এক ইতিহাসও আছে। জানা গেছে, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামের এক তরুণীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে নানা অশান্তির কারণে লিমা সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। ১৮৯১ সালে নিজে হাতে নোইভা ডো কোরডোইরো গ্রামটি গড়ে তোলেন লিমা। তখন থেকেই এই প্রথা চালু করেন তিনি- কোনো নারীই বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যেতে পারবে না। বিয়ের পর স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে।

এমন রীতির কারণে কোনো পুরুষই এই গ্রামের মেয়েদের জীবনসঙ্গী হতে চায় না। এজন্য সুন্দর ও যোগ্য হয়েও অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে ব্রাজিলের এই গ্রামের নারীদের।

Advertisement
Share.

Leave A Reply