fbpx

সেভেরোদোনেৎস্কের ৮০ শতাংশ রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্কের ৮০ শতাংশই এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন লুহানস্কের গভর্নর সেরগি গাইদাই। শহরটির আজত রাসায়নিক কারখানায় আটকে পড়া ইউক্রেনীয় সেনাদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা বিবিসি, আল-জাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

রুশ বাহিনীর বিরতিহীন গোলাবর্ষণ আর লড়াইয়ের কারণে বেসামরিক নাগরিকদের এখন আর সরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে মঙ্গলবার স্বীকার করেন লুহানস্কের গভর্নর। তিনি বলেন, আজত রাসায়নিক কারখানায় এখনো প্রায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়ে আছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রুশ বাহিনীর পোড়ামাটি নীতি আর ভারী কামান ব্যবহারের’ কারণে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে শহরের শিল্পাঞ্চলের উপকণ্ঠে সরে আসতে হয়েছে।

তবে রুশ সেনারা শহরটি পুরোপুরি দখল করতে পারেনি বলে জানান সেরগি গাইদাই। তিনি বলেন, এখনো আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করারও সুযোগ আছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাসায়নিক কারখানায় আটকে পড়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যদের আজ বুধবার সকাল নাগাদ অস্ত্র সমর্পণ করতে বলেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে নিজেদের অবস্থান আরও জোরদার করছে মস্কো।

রাশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের প্রধান মিখাইল মিজিনৎসেভ বলেছেন, যোদ্ধাদের উচিত তাদের নির্বোধ প্রতিরোধ লড়াই বন্ধ করা। (মস্কো সময়) সকাল আটটা থেকে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করা উচিত।

মানবিক করিডর দিয়ে বেসামরিক লোকজনকে সরে যেতে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রুশ সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিকদের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল লুহানস্কে নিয়ে যাওয়া হবে।

দনবাস অঞ্চলে নিজেদের সামরিক শক্তির ব্যাপক ব্যবহার করছে রাশিয়া। এমন প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আরও ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ ব্রাসেলসে ন্যাটো সামরিক জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply