বাংলাদেশের অন্যতম চেইন সুপার শপ স্বপ্নের ডিজিটাল সিস্টেমে ঢুকে ১৮ লাখ টাকার ভাউচার দেখিয়ে মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার ইনভেস্টিগেশন দল-সিটিটিসি।
এই তিনজন হলেন- মো. নাসিমুল ইসলাম, রেহানুর রহমান রাশেদ ও রাইসুল ইসলাম। মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান।
রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২৬ জুন থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে সুপার শপ স্বপ্নের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে বিপুল অংকের ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ ডিজিটাল ভাউচার তৈরি করে বিক্রি করা হয়।
সেটি স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তারা ডিএমপির সিটি- সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে অভিযোগ জানায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে হ্যাকিং এর কাজে ব্যবহৃত ৬ টি মোবাইল সেট, ০২ টি ল্যাপটপ ও ০১টি সিপিইউ, ক্রিপ্টোকারেন্সি, নগদ অর্থ, ইলেকট্রনিক কার্ড ও স্বপ্ন ই-ভাউচারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত বিপুল পরিমাণ পণ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তারকৃতরা বলেছে, স্বপ্নের ডিজিটাল সিস্টেম হ্যাক করে তারা ১৮ লাখ টাকার ডিজিটাল ভাউচার জেনারেট করে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ ছাড়ে কয়েকটি ই-কমার্স ইউজারদের কাছে বিক্রি করে। আর এভাবে তারা জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্টে জমা করে।’
তারা বাংলাদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, বাস কোম্পানি, ইলেকট্রনিক গেজেট চেইন আউটলেটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আত্মসাত করেছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, এই চক্রের মূল হোতা হচ্ছেন- বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করা নাসিমুল। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।’
বর্তমানে স্বপ্ন তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারাদেশের ১৮৬টি আউটলেটের মনিটরিং, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, কর্মী ব্যবস্থাপনা, আর্থিক লেনদেনের হিসাব, ডিজিটাল ভাউচার ম্যানেজমেন্টসহ সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির ও কনসালটেন্ট কর্পোরেট মিজানুর রহমান লিটন।
