fbpx

স্বামীর মৃত্যুর ১৭ বছর পর বিমান দুর্ঘটনায় একইভাবে মারা গেলেন স্ত্রীও

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নেপালের পোখারা বিমানবন্দরের কাছাকাছি বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ যাত্রীর সবাই মারা গেছেন। নেপালের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পোখরার যেখানে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে কোনো আরোহীকে জীবিত পাননি তারা।

সোমবার নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কৃষ্ণ প্রাসাদ ভাণ্ডারি বলেছেন, “দুর্ঘটনাস্থল থেকে আমরা কাউকে জীবিত উদ্ধার করিনি।”

রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট উড়োজাহাজ এটিআর ৭২-৫০০ পর্যটন নগরী পোখরায় অবতরণের চেষ্টার সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি ১৫ বছরের পুরনো।

কয়েক টুকরো হয়ে যাওয়া প্লেনটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নিহত দুই পাইলটের মধ্যে একজন অঞ্জু খাতিওয়াদা। ১৭ বছর আগে তার স্বামী কো পাইলট দীপক পোখারেলও বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। সেটিও ছিল এই ইয়েতি এয়ারলাইন্সেরই একটি বিমান।

রবিবার সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ‘৯ এন-এএনসি এটিআর–৭২’ মডেলের উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে। ক্যাপ্টেন কামাল কেসির সঙ্গে ছিলেন কো পাইলট অঞ্জু। কিন্ত বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই সেটি বিধ্বস্ত হয়।

জানা গেছে, স্বপ্নপূরণের মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগেই থেমে যায় অঞ্জুর স্বপ্নযাত্রা। কেননা এই বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করাতে পারলেই কো পাইলট থেকে ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হতেন অঞ্জু। কিন্ত স্বামী দীপকের মতোই একইভাবে নিহত হলেন অঞ্জু।

২০০৬ সালের ১২ জুন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন অঞ্জু। কো পাইলট দীপকসহ পোখারেল জুমলা বিমানবন্দরে আরও ৯ জন নিহত হন।

তখনই অঞ্জু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, পাইলট হয়ে তার স্বীমার স্বপ্নটা পূরণ করবেন। স্বামীকে হারানোর চার বছর পর পাইলটের ওপর প্রশিক্ষণ শেষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেপালে ফিরে আসেন তিনি। ফিরেই (এটিআর) মডেলের উড়োজাহাজ চালানোর মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন অঞ্জু খাতিওয়াদা। ওই এটিআর মডেলের একটি উড়োজাহাজে বিধ্বস্তে নিহত হলেন।

অঞ্জুর স্বামী দীপক প্রথমে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার চালাতেন। পরবর্তীতে ইয়েতি এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। স্বামীকে হারানোর ১৭ বছর পর একই মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হলে তিনি।

অঞ্জুর আত্মীয়রা জানান, অঞ্জু এবং দিপক ২২ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানকে রেখে গেছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply