fbpx

সড়ক হবে তিন রঙের, লাল চিহ্নিত সড়কে বসবে না হকার: তাপস

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন সড়কগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিন রঙে চিহ্নিত করা হবে। লাল চিহ্নিত সড়কে হকার বসতে দেওয়া হবে না। আগামী সপ্তাহ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে, জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ১০ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপনী বিতানের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ঢাদসিক মেয়র এ ঘোষণা দেন।

তাপস বলেন, “আজকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন পদক্ষেপে যাচ্ছি, নতুন কার্যক্রমে যাচ্ছি। যেমনি আমরা ১০ তলা মার্কেটে (তাদেরকে) পুনর্বাসন করব, তার সাথে সাথে আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের নির্দিষ্ট রাস্তায় নির্দিষ্ট সড়ক চিহ্নিত করব। কেবল অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো লাল চিহ্নিত করা হবে। হলুদ ও সবুজ চিহ্নিতও করা হবে। লাল চিহ্নিত এলাকায় সড়কে হাঁটার পথে আমরা আর হকার বসতে দেবো না। আগামী সপ্তাহ থেকে লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো হতে হকার সরানোর অভিযান শুরু করব।”

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আধুনিক দশতলা বিপণি বিতান নির্মাণ কাজ হকারদের প্রতীক্ষা পূরণের আশাবাদ জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, “এটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ছিল। অত্র এলাকার হকার ভাই-বোনদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মার্কেট। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দীর্ঘদিন এটা করা হয়নি। আজকে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটার কাজ শুরু করতে পেরেছি। আমরা আশা করব আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। হকার ভাই-বোনদের জন্য এটি একটি বড় মার্কেট হবে। তারা তাদের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।”

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, “আপনারা জানেন যে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব যেরকম মহামারীর আকার ধারণ করেছিল এবার সেই পর্যায়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিল। আমরা এজন্য প্রথম থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি। যে জরিপগুলোর ফলাফল এসেছিল সেগুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা বিস্তর চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি এবং বিগত দুই মাসব্যাপী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করে (এডিস মশার) উৎসগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে প্রত্যেকদিন দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছি। যার ফলশ্রুতিতে আমরা ঢাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার থেকে মুক্তি দিতে পেরেছি।”

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অসময়ে বৃষ্টিপাত হলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু রোগ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, “গতকালের পরিসংখ্যান (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী) অনুযায়ী আমাদের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪০ জন, যা এ পর্যন্ত এই মৌসুমে সর্বোচ্চ। কারণ পুরো মৌসুমে আমরা কাজ করে ৩০, ২৫, ২০, ১৫ জনের কাতারে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শেষ পর্যায়ে এসে একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ সিটিতে এখনো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এছাড়াও ঢাদসিক মেয়র আজ মুগদাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সংলগ্ন নিমতলী মোড়ে সড়ক সম্প্রসারণ এবং বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply