হংকংয়ে করোনা মোকাবেলায় প্রথমবারের মতো কাউলুন উপদ্বীপে ৪৮ ঘণ্টার জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। এর আওতায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ গৃহবন্দি হয়েছে।
তাদের সবাইকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে কেবল তারাই বাইরে যেতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সবাইকে এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই এলাকায় ৭০টি ভবন রয়েছে। সেখানে প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। সে হিসেবে সোমবার থেকেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা।
স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলটিতে এবারই প্রথম কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোফিয়া চান বলেন, ‘ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে ওই এলাকায় কড়াকড়ি আরোপ ও প্রত্যেককে পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে।’
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম জানান-বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষার জন্য ৫০টি অস্থায়ী কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে তিন হাজারেরও বেশি বেসামরিক কর্মী কাজ করবেন।
ল্যাম বলেন- ‘আমরা বাসিন্দাদের উদ্বেগ দূর করতে এটা করছি। কারণ এই এলাকায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। এতে এখানকার মানুষের জীবন, মনোবিজ্ঞান ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে’
কাউলুন এলাকায় চলতি মাসেই ১৬২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অন্যান্য এলাকার চেয়ে ওই এলাকায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে।