fbpx

হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে না পারার দুঃখ প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিমানে চলাচলের সময়ে বাংলাদেশ সিনেমা দেখা হয় কিন্তু হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে না পারার দুঃখ রয়েছে গেছে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান সফলতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, যদিও আমার একটাই দুঃখ যে, হলে গিয়ে আমার সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয় না। তবে আমি যখন বিমানে চড়ি তখন কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা দেখি। এবার তো সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার সময় পরপর দুইটা সিনেমা দেখলাম একই দিনে। মোটামুটি ওখানে যে কয়টা আছে আমার দেখা হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে অনেকে আমাকে পেনড্রাইভ পাঠায় তখন সময়মতো মাঝেমধ্যে দেখি।’

‘তবে একটানা বসে দেখার তো সময় হয় না, একটা রাষ্ট্র চালানো ১৭ কোটি মানুষের বোঝা তো আমার কাঁধে। তাদের জন্য কাজ করে, আমি ফাইল দেখতে দেখতে আর ওই রিপোর্ট পড়তে পড়তে সময় চলে যায়। এত পড়তে হয়, এত পড়া যে পড়তে হবে এই বৃদ্ধ বয়সে এসে, এটা আমি কখনো ভাবিনি। মাঝে মাঝে দুঃখ হয় সত্যি এত যদি ছোটবেলায় পড়তাম তাহলে প্রতিবারে ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারতাম। কিন্তু আল্লাহ বোধ হয় ছোটবেলায় পড়তে দেয়নি বলেছে, বুড়ো বয়সে তুই পড়বি, এখন সেটাই করতে হচ্ছে!’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যা হোক তবুও একটু একটু সিনেমা দেখি আর বিশেষ করে এভাবে রেহানা (শেখ রেহানা) আমাকে সব সময় সাহায্য করে। ও বসে বসে হুকুম দেয়, ওই সিনেমাটা দেখো তো, ওটা তোমার দেখা উচিত। আমি না দেখলে ও যখন ঢাকায় থাকে সোজা ও সেটা আমাকে দেখায়। আমি মাঝে মাঝে দেখে ভুলেও যাই, কারণ আমার বাংলাদেশের নদীনালা, খালবিলই মনে থাকে, বাকি খুব একটা মনে থাকে না। ওর কাছে তখন জিজ্ঞাসা করি আমি যেন কোন সিনেমাটা দেখেছি বলতো একটু। ও সাহায্য করে, আমি সব সময় ওর পরামর্শটা নেই।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply