fbpx

হেমন্তের প্রথমদিন আজ, পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সকাল সকাল কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হালকা মিষ্টি একটা বাতাস গায়ে লেপ্টে থাকে আজকাল। এই বাতাসই শীতের আগমনী হয়ে আসে এই দেশে। যদিও তার আগে বরণ করতে হয় হেমন্তকে। আজ সেই হেমন্ত বরণের দিন। আজ বাংলা ক্যালেন্ডারে কার্তিক মাসের ১ তারিখ মানে হেমন্তের প্রথম দিন।

দিনের শুরুতে কুয়াশায় ঢেকে থাকে দেশের বেশিরভাগ জায়গা। সকাল ৮টার আগে মিলছে না সূর্যের দেখা। অনেক সময় এই ভোরেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয় যানবাহন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য আলো ছড়ালেও সকালের আকাশ এখনো মেঘ-কুয়াশাচ্ছন্ন।

শরতের শেষের দিকেই এ কুয়াশা নিয়ে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। অগ্রহায়ণে শীত পড়তে শুরু করলেও প্রায় মাসখানেক আগেই কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী উপকূলীয় অংশে। এ কুয়াশা কিছু মানুষের জন্য উপভোগের হলেও শিশু-বয়স্ক ও কৃষকদের জন্য আতঙ্কের কারণ।

ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বর, কাশিতে নাকাল হচ্ছে অনেকেই। একদিকে ডেঙ্গু অপর দিকে এই ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সব বয়সের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে নিজেদের শারিরীক অসুস্থতার কথা লিখছেন।

আমজাদ হোসেন আবির লিখেছেন, ‘একদম কথা বার্তা ছাড়া হুট করে শীত নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছে শীতের বাতাস!’

রাশায়াত রহমান জিকো লিখেছেন, ‘সর্দি, ঠান্ডা এগুলা ১০-১২ দিনেও ভাল হয় না কারণ কি! আর আমার ধারণা ফেক্সো ওষুধ করোনাকালে মানুষ এত খাইছে এখন আর এইটা কোনো কাজ করে না।’

সাইদা মমতাজ লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। মাথা অনেক ব্যথা। সাথে ঠান্ডা, জ্বর,। এসময় আদা, লেবু মিশ্রিত চা অনেক বেশি উপকারী। ’

এভাবেই ঘরে ঘরে অসুস্থতা বেড়েই চলছে। কবি সাহিত্যকদের হেমন্ত বার্তায় এখন আর তেমন একটা প্রভাব না পড়লেও ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ার প্রভাব ঠিকই পড়ছে। রাতের-ভোরের কুয়াশায় ঠান্ডা ও দিনের বেলার গরমের ঘাম বসে শিশু-বৃদ্ধদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply