fbpx

১০ মাসে তিন হাজার ২০৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনার মাঝেও গতিশীল রয়েছে রফতানি কার্যক্রম। এজন্যই রফতানি খাতে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) তিন হাজার ২০৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আট দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।

আর শুধু মাস হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় ৫০৩ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিলে যেখানে রফতানি আয় ছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলার, চলতি বছর সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৩ কোটি ডলারে। সে হিসেবে এক বছরে এই আয় বেড়েছে চেয়ে ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, তৈরি পোশাক, পাট ও পাটপণ্য, চামড়া ও চামড়াপণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্য, রাসায়নিক পণ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রফতানি বাড়লেও হিমায়িত খাদ্যের রফতানি কমেছে।

করোনায় লকডাউনের কারণে গত বছর এপ্রিলে পণ্য রফতানি প্রায় বন্ধ ছিল। এজন্য আয়ও নিম্নমুখী ছিল। তবে চলতি বছর সরকার লকডাউনে তৈরি পোশাকসহ সব শিল্পকারখানার উৎপাদন চালু রাখে। ফলে, রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

এই ১০ মাসে পোশাক খাতে রফতানি হয়েছে দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ছয় দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদন বলছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) পোশাক খাতে রফতানি কমেছিল দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ।হিমায়িত মাছসহ সবধরনের হিমায়িত খাদ্যের রফতানি ৯ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ছয় শতাংশ, ফার্নিচারের ১৩ শতাংশ এবং জাহাজ শিল্পের ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ রফতানি কমেছে।

চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের ১০৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইলে ৯৫ কোটি ডলারের রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৪ শতাংশের বেশি।

ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে ৭৬ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়া পণ্য, ৪৩ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য, ৩৯ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে চামড়া ও চামড়া পণ্যে সাড়ে আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply