fbpx

২০২৩ সালে ভয়াবহ গ্যাস সংকটে পড়বে ইউরোপ: কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ২০২৩ সালে ইউরোপ ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্যাস সংকটে পড়বে, সতর্ক করেছেন কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল কাবি।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদ আল কাবি বলেন, ‘এই শীতে ইউরোপ তেমন সমস্যায় পড়বে না। কারণ, বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে তাদের গ্যাসের মজুত পরিপূর্ণ অবস্থায় রেখেছে। এটা ভাল।’

তবে রাশিয়া সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে অন্যান্য উৎস থেকে গ্যাস কিনে সাময়িকভাবে হয়তো এই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে, কিন্তু সেসব উৎস টেকসই হবে না বলেও জানান তিনি।

সাদ আল কাবি বলেন, সামনের বছর থেকে গ্যাস ইউরোপের প্রধান ইস্যু হয়ে উঠবে। কারণ ইউরোপ রাতারাতি কোনো বিশাল আকারের পারমাণবিক চুল্লি প্রস্তুত করতে পারবে না।

যদি কয়লাভিত্তিক বা জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ইউরোপ চালু করে, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা; কিন্তু সেটিও সম্ভব নয়, কারণ রা যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ইউরোপকে গ্যাসের ওপরই নির্ভর করতে হবে- সতর্ক করেন তিনি।

কিন্তু সেই গ্যাস মিলবে কোত্থেকে এমন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙে গেছে। বিকল্প যেসব উৎস সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ভাবছেন, সেসবের কোনোটিই টেকসই উৎস নয়। সাময়িকভাবে হয়ত সেসব থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে (গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে) রাশিয়ার বিকল্প হয়ে ওঠার মতো অবস্থা ওইসব উৎসের নেই।’

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা ব্যাপক। এই মহাদেশে মোট গ্যাস চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ করতো রাশিয়া। কিন্তু আচমকা ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সামরিক অভিযান পরিচালনার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গ্যাসকে অন্তর্ভুক্ত না করা হলেও ইতোমধ্যেই ইউরোপে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে মস্কো। শর্ত জুড়ে দিয়েছে, বাইরের কোনো দেশ যদি রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস কিনতে চায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই রুশ মুদ্রা রুবলে তা কিনতে হবে। তবে ইইউর অনেক সদস্যরাষ্ট্র এই শর্তে ভেটো দিয়েছে।

ইইউয়ের নেতারা জানিয়েছেন, আপাতত নরওয়ে ও আলজেরিয়া থেকে এলএনজি গ্যাস আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা হবে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে সাদ আল কাবি বলেন, ‘গ্যাসের ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী হয়। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো দেশ থেকে গ্যাস কেনেন, সেক্ষেত্রে ওই দেশের সঙ্গে ১৫, ২০ কিংবা ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তিতে আপনার যেতে হবে। তাই ইউরোপ যেসব উৎস থেকে গ্যাস কেনার কথা ভাবছে, আমার মনে হয় না তারা দীর্ঘমেয়াদে ইউরোপের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply