গবেষণা ফার্ম ম্যাককিনসি অ্যান্ড কোম্পানি বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ কোটিরও বেশি মানুষ নিজেদের কর্মসংস্থান পরিবর্তন করবেন। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর কর্মজীবীরাই এই তালিকায় রয়েছেন বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ১২ শতাংশ মানুষ তাদের পেশা পরিবর্তন করবে। এর মধ্যে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, জাপান, স্পেন, ব্রিটেন আর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজীবীরা পেশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে।
কনসাল্টিং এ ফার্মটি বলছে, এই দশ কোটি মানুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ। এরা যদি তাদের পেশায় পরিবর্তন না আনে, তাহলে তাদের টিকে থাকাটাই কষ্টকর হবে। আর নিম্ন আয়ের ১০ জন কর্মজীবীর মধ্যে একজনই তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে।
এদিকে আবার যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, তরুণ বা স্বল্প শিক্ষিত কর্মজীবী, তাদের ক্যারিয়ারে মাইলফলক পরিবর্তন আসবে। এরা মহামারির ধাক্কা থেকে বের হয়ে নতুন পেশায় তাদের ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করবে। এর বেশির ভাগ মানুষ আবার থাকবে যুক্তরাষ্ট্রে।
দেশটিতে যেসব কর্মজীবীদের কোনো মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, তারা অন্য পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়বেন। এদের মধ্যে আবার শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে কৃষ্ণাঙ্গই বেশি থাকবেন।
এই প্রতিবেদন বলছে, যারা নিজেদের পেশা বদলাবেন, এদের বেশির ভাগকেই আবার মজুরি বাড়াতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। করোনা-পরবর্তী সময়ে নিজেদের পেশায় টিকে থাকতে তাই সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করছে মাল্টি ন্যাশনাল এ কোম্পানিটি।
তারা বলছে, সরকারের উচিত যারা পেশা পরিবর্তন না করলে টিকে থাকতে পারবেন না, তাদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণমূলক প্রোগাম চালু করা।
মহামারির প্রভাব কেটে গেলে বিশ্বের আর্থিক খাতকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সব শ্রেণি পেশার মানুষের দেশের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের বিকল্প নেই বলেও মনে করছে এ গবেষণা ফার্মটি।