fbpx

২৩ বছরে চিনির উৎপাদন সর্বনিম্ন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) মিলগুলোতে আখ সরবারহ কমে যাওয়ায় চিনি উৎপাদনের পরিমাণ ২৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায় পৌঁছেছে।

রাষ্ট্রীয় চিনি কলগুলোতে চলতি অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৩১৩ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। গত অর্থবছরে একই সময়ে চিনির উৎপাদন ছিল ২৪ হাজার ৫০৯ টন। এবছর চিনির উৎপাদন হয়েছে বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ কম।

বিএসএফআইসি (২০২০-২০২) অর্থ বছরে ৪৮ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছিল। ওই অর্থ বছরে লোকসান কমাতে ৬ টি কল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিএসএফআইসির ৮৮০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে রেকর্ড দামের মুখে বেসরকারি খাতের আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতি কেজি চিনি রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছরে ঢাকার বাজারে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ। অথচ, এমন সময়েও দেশে চিনির উৎপাদন কমছে।

বিএসএফআইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় দীর্ঘদিন ধরেই কমছে মিলের আশেপাশের এলাকায় আখ চাষের জমি। চলতি অর্থবছরে যা ৫০ হাজার একরে পৌঁছেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভুট্টা চাষ তুলনামূলক সহজ ও বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষক আখের বদলে ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, আমরা কৃষকের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আখ পাচ্ছি না। বিএসএফআইসি মিলের সরাসরি আমদানির সুযোগ না থাকায় অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার মতো পর্যাপ্ত চিনি আমাদের কাছে নেই।

এ সময় তিনি জানান বিএসএফআইসির কাছে ৯ হাজার ৬৩৩ টন চিনির মজুদ রয়েছে। ডিসেম্বরে মিলগুলোতে নতুন আখ মাড়াই শুরু হওয়ার আগেই এগুলো বাজারে ছাড়া হবে। মোট মজুতের মধ্যে আগামী জুনের মধ্যে বাজারে ছাড়া হবে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন।

বিএসএফআইসি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আখ থেকে চিনি উৎপাদন করে। বর্তমানে ১৫টি চিনিকলের মধ্যে মাত্র ৯টি চালু রয়েছে। ক্রমাগত লোকসানে থাকায় বাকি ৬টি চিনিকল সরকার ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বন্ধ করে দেয়।

বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান আরও জানান, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর (বিএটি) সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল আখের বীজ সরবরাহ করায় আগামী ২ বছরের মধ্যে চিনির উৎপাদন বাড়বে। কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য আখের দাম ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা করা হয়েছে। রাতারাতি উৎপাদন বাড়ানোর কোনো উপায় না থাকায় আগামী ২ বছর চিনির উৎপাদন কম থাকবে।

প্রতি একর জমি থেকে ৫০ টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিএসএফআইসি। বর্তমানে প্রতি একরে সর্বোচ্চ ২০ টন আখ পাওয়া যায়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে, যাতে চিনিকলগুলো টিকে থাকতে পারে। মিলগুলো বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা যেতে পারে কিংবা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের অধীনে চালানো যেতে পারে বলে তিনি পরামরার্শ দিয়েছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply