fbpx

২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে যেসব জিম্মিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস মুক্তি  দেবে তার একটি তালিকা হাতে পেয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গভীর রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। শনিবার তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এই খবর প্রকাশ করেছে।

 

হামাস ২৪ জনকে ছেড়ে দেয়ার পরপরই ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের পশ্চিম তীরের বেতুনিয়া চেকপয়েন্টে ছেড়ে দেয়া হয়।

কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি ছাড়াও ১০ থাই নাগরিক ও এক ফিলিপিনো নাগরিকের মুক্তি নিশ্চিত করেছে হামাস।

মুক্তির পর ইসরায়েল থেকে ধরা আনা জিম্মিদের মিসরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলিদের মধ্যে ২-৯ বছরের চার শিশু ও ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা ছিলেন।

প্রথম দফার মুক্তির বিষয়িটি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমরা প্রথম দফায় জিম্মিদের সফলভাবে ফিরিয়ে এনেছি। তাদের প্রত্যেকেই এখন সমগ্র বিশ্বের প্রতিচ্ছবি।

ইসরায়েলের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমি আপনাদের বলতে চাই আমরা সব জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত সপ্তাহে চারদিনের এ যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে একমত হয় হামাস ও ইসরায়েল। চুক্তিতে ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে দেড়শ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তির দাবি জানায় হামাস।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মিসরের দিক থেকে কয়েকশ ট্রাকভর্তি ত্রাণসামগ্রী গাজায় পৌঁছাবে; যার মধ্যে থাকবে ওষুধপত্র, জ্বালানি ও খাদ্য। রাফাহ ক্রসিং দিয়ে এরই মধ্যে ত্রাণবাহী ট্রাক চলাচল শুরু করেছে।

 

ইসরায়েলের দাবি, গত ৭ অক্টোবর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় দেশটির এক হাজার ২০০ নাগরিক নিহত হয়েছে।  আর হামলা শেষে কমপক্ষে ২৩৯ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে হামাসের যোদ্ধারা।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামাসের হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবহিনীর অতর্কিত বোমা হামলায় যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত অন্তত ১৪ হাজার ৮৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ জন শিশু এবং ৪ হাজার নারী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply