fbpx

২৬ মার্চের সহিংসতা নিয়ে কাদের ও ফখরুলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২৬শে মার্চের সহিংসতার ঘটনায় কারা জড়িত, তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২৬শে মার্চ যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, এটা পুরোপুরি সরকারের পরিকল্পিত ছিলো। তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উসকানিতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। অথচ এখন তারা এটাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া হিসেবে কাজে লাগোচ্ছে।’

হেফাজতের বিক্ষোভের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়ানোর অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘ফরিদপুরের সালথায় ১৭ হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হয়েছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সারা দেশে হয়রানি করা হচ্ছে।‘

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের সমস্ত অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে তীব্র সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির এ অভিযোগ গতানুগতিক, এবং সত্য নয়। শেখ হাসিনা সরকার রাজনৈতিক নিপীড়নে বিশ্বাসী নয়। শেখ হাসিনা সরকার সকল দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।‘

হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপি চুপ ছিলো অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং জনগণ তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দিয়েছে, তা নিয়ে বিএনপি একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।‘

বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মামলায় আসামি এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের কোথায় হয়রানি করা হচ্ছে তার তালিকা দিন। ঢালাও অভিযোগ না করে স্পষ্ট প্রামাণ দিন।‘

‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া চলছে’, এমন অভিযোগের উত্তরে কাদের বলেন, ‘তাদের এসব কথা শুনলে জনগণ হাসে। তারা অপরাজনীতি ও মিথ্যাচারকে রাজনীতি মনে করছে। জনগণের কল্যাণ থেকে দূরে থেকে বিএনপি এখন সন্ত্রাস ও গুজবনির্ভর রাজনীতির চর্চা করছে।‘

সরকারের ঘোষিত লকডাউনকে সমন্বয়হীন বলে আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে সাত দিন দিয়েছে, এরপর কী হবে? যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের তো ঘরে রাখতে পারবেন না। যার পেটে ভাত নেই, করোনা দিয়ে কী করবে সে, লকডাউন দিয়ে কী করবে। এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা তো অনেক।’

এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তাই দেশের মানুষের সুরক্ষা তথা সংক্রমণ রোধে শেখ হাসিনা সরকার যে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের জীবনের সুরক্ষার স্বার্থেই।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply