শীত আসার সাথে সাথেই বাড়ছে করোনায় সংক্রমণের হার, সেই সাথে বাড়ছে বাজারে মাস্কের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে মাস্কের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ২ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
দেশের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাস্কের দামের এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ১৬ নভেম্বর জনসাধারনকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে মাস্ক পরা নিশ্চিতকরন অভিযান চলছে। ২৫ নভেম্বর বুধবার ঢাকা শহরের ১৭টি এলাকায় মাস্ক পরা অভিযানে মাস্ক না পরার জন্য ১১১ জনকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে এদের মধ্যে কিছুজনকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণও করা হয়।
হঠাৎ করেই মাস্কের দাম বেড়ে যাবার কারণ হিসেবে জনসাধারন অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী মনোভাবকেই দায়ী করছেন।
এদিকে, ঢাকাসহ দেশের জেলায় জেলায় যে মাস্ক সরবরাহ হয়, তার বড় অংশ যায় বাবুবাজারের দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর নিচের মাস্কের পাইকারি বাজার থেকে। সেখানে মাস্কের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে ঢাকার খুচরা দোকানেও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ক’মাসে বাজারে মাস্কের চাহিদা ও দাম দুটোই কম ছিল। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় এবং সরকারের মাস্ক অভিযানের প্রভাবে আবারো মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন মানের ও দামের মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে মাত্র দু’ধরনের মাস্ক আমদানি করা হয়, বাকি সবই আমাদের দেশের তৈরী।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বাজারে মাস্কের সংকট নেই, কিন্তু তারপরও মাস্কের দাম বাড়ছে। পাইকারী বাজারেই এখন এক বক্স মাস্কের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়লেও করোনার আতঙ্কের কারনে মানুষ এখন মাস্ক কিনছে, তবে কম কিনছে।
করোনার শুরুর দিকে বিপুল পরিমান মাস্ক আমদানী হয়েছে। তবে বর্তমানে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো মাস্ক তৈরী করায় আমদানীর প্রয়োজনীয়তা কমেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা সবার একটাই দাবি, মাস্ক তৈরী ও বিক্রিতে নূন্যতম একটা নীতিমালা থাকা উচিত।