ইশরাত জেরিনের জন্ম ২৪ অক্টোবর। বেড়ে উঠেছেন খুলনায়। পড়াশোনা শুরু খুলনা রোটারি স্কুলে। এমবিএ শেষ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বিশ্ব নারী দিবসে বিবিএস বাংলা’য় নিজের একান্ত কিছু অনুভুতি লিখেছেন এই কর্মজীবী নারী।
আজ বিশ্ব নারী দিবস। নারী শব্দটা ঘিরে আরও অনেক শব্দ। নারী কখনও আপনার দৃষ্টিতে মা, বোন, মেয়ে, সহধর্মিনী, কখনও আবার কোনো নোংরা শব্দে বা তাচ্ছিল্যে! কখনও বা সে মানুষ নয়। সমাজের তথাকথিত ভাবনায় নারী যেন কোনো ইচ্ছে পুতুল। যেমন আপনার চাওয়া তেমনই সে যেন।
একজন মানুষ হিসেবে আসলে আমরা কী চাই? নিজের স্বকীয়তায় বেঁচে থাকা। যে বাঁচাতে প্রাণ থাকবে। আমার মতো আমি বেচে থাকব। কিন্তু শুধুমাত্র নারী এই সত্তা নিয়ে জন্মানোর কারণে কী হয়? সাধারণত আমাকে বাঁচতে হয়, ভাবতে হয়, চলতে হয় কিছু প্রশ্ন নিয়ে। সমাজ কী বলবে, সমাজ আমাকে মেনে নেবে তো, প্রতি মুহূর্তে এমন কোনো ভাবনায় নিজের এই আমার আমিকে মেরে ফেলে, অন্যের চাওয়ার মতো করে বাঁচতে, সে বাঁচাতে প্রাণ কোথায়? বাঁচতে হয় সংকোচে, দ্বিধায়। যেন এক অলিখিত নিয়মে চলছে। এক দৃষ্টিভঙ্গি নারী- সে পারবে তো? সে যোগ্য কী? অতটা যতটা একজন পুরুষ? যেন চলমান এক পরীক্ষা নিজেকে প্রমাণ করতে হবে, আমি পারি।
আসলে সমস্যা আমাদের ভাবনায়। আমরা এভাবে ভাবতে পারি না। দুজন পুরুষ ও একই রকম কাজ করার যোগ্যতা রাখেনা। বিষয়টা শুধু লিঙ্গভিত্তিক না। আমরা বৈচিত্রকে বৈচিত্রে রাখতে পারার অভ্যাসে বা ভাবনাতে নাই। নারী দিবসে এই চাওয়াটা হোক পুরুষ বা নারী যেই হোক সবাই যেন নিজের স্বকীয়তায় বাঁচতে পারে। আমরা নিজেদের জন্য এমন একটা সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে নারী বা পুরুষ সব সত্তাই যেন দীর্ঘশ্বাসে না বাঁচে। বেঁচে থাকা হোক স্বকীয়তায়।