সদ্য বিদায়ী বছরের ১১ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে বেশ রাজত্ব করেছে। এ সময়ে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে।
বিদায়ী বছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পোশাক রপ্তানি ৭২১ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের (ওটিইএক্সএ) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কটন ট্রাউজার, স্ল্যাকস, নিট শার্ট ও নিট ব্লাউজ রপ্তানি করা হয়। করোনার সময় পোশাক খাতে বেশ ধস নামে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বাতিল হতে থাকে একের পর এক ক্রয়াদেশ। ফলে রপ্তানির পরিমাণও কমতে থাকে। এই পরিস্থিতি কাটতে সময় লাগে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। মূলত মে মাস থেকে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আগের জায়গায় ফিরতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিদায়ী বছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৬৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়। ২০২০ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০৪ কোটি ডলার।
ওটিইএক্সএ বলছে, ২০২১ সালের ১১ মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সব মিলিয়ে অন্তত ৬০ কোটি ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২১ সালের মে থেকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রতি মাসেই রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ডিসেম্বরে এই প্রবৃদ্ধি ৭২১ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এছাড়া এই ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ । ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৬৩৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৮৭ কোটি ডলার।