fbpx

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল: সিটির প্রথম না চেলসির দ্বিতীয়?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এক বছর বাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবারও অল ইংলিশ ফাইনাল। শেষবার দুবছর আগে লড়েছিল লিভারপুল-টটেনহ্যাম, এবার ম্যানচেস্টার সিটি-চেলসি। সিটির প্রথম আর চেলসির দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলার লড়াই মঞ্চায়িত হবে রোববার রাতে পোর্তোর এস্তাদিও দো দ্রাগাও স্টেডিয়ামে। গতিময় ফুটবলে বুদ হতে চাইলে, রোমাঞ্চে ভাসতে চাইলে বসতে হবে টিভি সেটের সামনে, সময় রাত একটা।

গত মৌসুমে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি) তুলেছিলেন ফাইনালে, শিরোপায় দেওয়া হয়নি চুম্বন। এবার এসেছে সুযোগ, সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবেন চেলসি কোচ থমাস তুখেল। চলতি মৌসুমের মাঝপথে পিএসজি থেকে বরখাস্ত হন এই জার্মান, চেলসিও বরখাস্ত করে তাদের ক্লাব কিংবদন্তি ফ্রাংক ল্যাম্পার্ডকে। দুয়ে দুয়ে চার মিলে তুখেল যখন যোগ দিলেন চেলসি শিবিরে, ইংলিশ ক্লাব তখন ডুবছে অথৈ জলে। তুখেল গভির জল থেকে টেনে তুলেছেন, দেখিয়েছেন স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন এখন সত্যি হওয়ার পথে, জয় মাত্র দূরে ।

লিগে সিটির শিরোপা অনেকটা ডালভাত। তবে এর পেছনের গল্প জুড়ে যে কাড়ি কাড়ি টাকা ফুটবল পাড়ায় তা ‘ওপেন সিক্রেট’ । যদিও কথাটা পুরোপরি সত্য নয়, সিটিদের সাফল্যে অনেকটা অবদান পেপ গার্দিওলার।

তুখেল আর গার্দিওলা, দু কোচেরই ভরসার জায়গা তারুণ্যে। সিটির ভরসার নাম যদি হন ফিল ফোডেন, তুখেলের তুরুপের তাস ম্যাসন মাউন্ট। দুদলের দুই উইঙ্গার সিটির রিয়াদ মাহরেজ এবং চেলসির ক্রিস্টিয়ান পুলসিক আছেন ছন্দে। সবকিছু ছাঁপিয়ে লাইমলাইটের সবটুকু আলো দুই মিডফিল্ডারের উপরে, চেলসির কান্তে আর সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা। দুদলের জমাট রক্ষণও ম্যাচের উত্তেজনা বাড়াবে। তুখেল আর গার্দিওলা ভরসা খুজতে পারেন আরেকটা জায়গায়, দুই গোলকিপার এডারসন আর মেন্দিও আছেন দারুণ ফর্মে।

লিগ শিরোপা জেতার আত্মবিশ্বাস স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে রাখবে সিটিজেনদের। তবে চেলসির বিপক্ষে সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স সিটি কোচ গার্দিওলার কপালের ভাঁজকে দীর্ঘায়িত করবে শুধু। এফএ কাপ সেমিফাইনাল আর সর্বশেষ লিগ ম্যাচেও সিটিকে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজেই আছেন চেলসি বস থমাস তুখেল। ইস্তাম্বুলে হওয়ার কথা ছিল শেষ লড়াই, কোভিড পরিস্থিতির অবনতিতে সেই লড়াই এখন গড়াবে পোর্তোতে। প্রশ্ন একটাই, শেষ হাঁসি হাসবেন কে? তুখেল নাকি গার্দিওলা? তবে যেই হাসুন না কেন, উল্লাস যে হচ্ছে ইংল্যান্ডের মাটিতে এটা নিশ্চিত। খেলা কখন মনে আছে তো? রাত একটা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply