fbpx

আফগানিস্তান ডুবলো, ভারতকে নিয়েই ডুবলো!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আফগান অলরাউন্ডার গুলবদিন নাইবের সেই বিখ্যাত উক্তি মনে আছে কী? সেই উক্তিটা হলো, ‘হাম তো ডুবে হে সানাম, তুমহে ভি লে কার ডুবেঙ্গে’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘আমরা তো ডুবছিই, তোমাদের নিয়েই ডুববো’।

গুলবদিনের উক্তি সত্য হয়নি। আফগানিস্তান একাই ডুবেছিলো, বাংলাদেশকে তারা ডোবাতে পারেনি। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমন কিছু বলেননি গুলবদিন। তবে ভারতের ১৩০ কোটি জনগণের মনে এখন গুলবদিনের এই অব্যক্ত কথাগুলোই বাজছে তা নিঃসন্দেহে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে আফগানিস্তান তো ডুবলোই এবং ভারতকে নিয়েই ডুবলো! নিজেরাও সেমিফাইনালে যেতে পারলো না। ভারত এখন নামিবিয়ার সাথে যত ব্যবধানেই জয় লাভ করুক, কোহলি-বাহিনীকেও ম্যাচশেষে ধরতে হবে বাড়ির পথ!

ভারতের শতকোটি জনতার প্রত্যাশার ‘ভারহীন বোঝা’ যারা বহন করছিলো, সেই আফগানরা টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েও প্রথম ইনিংসে করতে পারলো সাকুল্যে মাত্র ১২৪। যে লক্ষ্য মাত্র ১৮.১ ওভারে তাড়া করেছে কিউইরা।

আবুধাবিতে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে নিউজিল্যান্ড পেসারদের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১২৪ রান তুলতে পারে আফগানিস্তান। কিউই পেসারত্রয়ী টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্ট-অ্যাডাম মিলনের বোলিং তোপে কেঁপে যায় আফগান ব্যাটিং। ১৯ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে তিন উইকেট। তিনজনই নিয়েছেন একটি করে উইকেট। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরান ও গুলবদিন নাইব গড়েন প্রতিরোধ। দু’জনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৭ রান। তবে ইশ সোধির শিকার হয়ে ১৫ রানে ফিরে যান নাইব, জাদরান অবশ্য তুলে নেন অর্ধশতক। ১৯তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪৮ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এর আগে মোহাম্মদ নবীও রানের চাকা আগে বাড়াতে হয়েছেন ব্যর্থ, ফিরেছেন ২০ বলে ১৪ রানে। জাদরানকে আউট করার ওভারে করিম জানাতের উইকেটও নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট; করিম জানাতকে আউট করেন ২ রানে। সব মিলিয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের সফলতম বোলারও বোল্ট। জিমি নিশামের করা দুর্দান্ত শেষ ওভারে রশিদ খান নিতে পারেন মাত্র ২ রান, হারান নিজের উইকেটটি।

১২৫ রানের ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করতেও রশিদ-মুজিব-নবীদের নিয়ে গড়া স্পিন আক্রমণের বদৌলতে ভালোই সম্ভাবনা ছিলো আফগানদের। তবে পাওয়ারপ্লেতেই সেই চাপ উড়িয়ে দেন দুই কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ড্যারিল মিচেল। প্রথম তিন ওভারে আসে ২৬ রান। চতুর্থ ওভারে মুজিবের বলে মিচেল আউট হলেও গাপটিল চালাতে থাকেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে। গাপটিল ২৩ বলে ২৮ করে রশিদ খানের বলে আউট হলেও উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে আরাম করেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। কনওয়ে ৩২ বলে ৩৬* ও উইলিয়ামসন ৪২ বলে ৪০* করে অপরাজিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply