fbpx

আবদুল হামিদ সেনানিবাসের কারণে হাওরের মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আবদুল হামিদ সেনানিবাস নির্মাণের কারণে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও এলিভেটেড রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ হবে। ফলে হাওর এলাকার মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার দুপুরে মিঠামইন সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জমিতে নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শেখ হাসিনা বলেন, “হাওর অঞ্চলের মানুষকে প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে কঠিন লড়াই করে যেতে হয়। এ সেনানিবাস নির্মাণের কারণে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও এলিভেটেড রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ হবে। ফলে হাওর এলাকার মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে। সিলেট ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে।”

এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়ির পাশে ঘোড়াউত্রা নদীর চরে সেনানিবাস উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর তিনি সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে যান।

সেখানে সেনা সদস্যরা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং তিনি এ উপলক্ষে বেলুন ওড়ান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। এ লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে তিনি একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ণ করে যান এবং আমরা তারই ভিত্তিতে রূপকল্প-২০৩০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি এবং সর্বাধুনিক অস্ত্র সংযোজন করে চলেছি।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, “১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম-দেলোয়ারকে ট্রাকের চাপায় হত্যা করা হয়েছিল। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে বলেই গত ১৪ বছরে দেশে এত উন্নতি হয়েছে, যেটা বিগত ২৯ বছরেও হয়নি।”

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply