fbpx

আর্জেন্টিনার চোখ শিরোপায়, নেইমাররা ঘরে ফেরার অপেক্ষায়!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

– Advertisement –

 

আর্জেন্টিনা যখন মাঠে নামার অপেক্ষায়, ব্রাজিলের ততক্ষণে নিশ্চিত হয়ে গেছে বিদায়। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম থেকে মেসিদের ভেন্যু লুসাইলে খবরটা হয়তো বাতাসের আগেই পৌঁছেছে। প্রিয় দলকে ঘিরে নিশ্চিতভাবেই শঙ্কা জেগেছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদেরও মনে। তবে সেটা দূর করতে খুব বেশি সময় নেয়নি আকাশি-সাদারা।

প্রথমার্ধের তখন ৩৫ মিনিট; ডানপ্রান্ত থেকে আক্রমণে আর্জেন্টিনা। নেদারল্যান্ডসের তিন খেলোয়াড়কে পাশ কাটিয়ে, ছয় খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে আর্জেন্টাইন জাদুকর মেসি বলটা ঠেলে দিলেন প্রতিপক্ষ দলের ডি-বক্সে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটা আদায় করে নিতে ডিফেন্ডার মলিনার শুধু বলে পা ছোঁয়ানোর প্রয়োজন ছিল, যেটা তিনি করেছেন। পরের সময়টা উদযাপনের, শঙ্কাকে পেছনে ফেলে ভক্ত-সমর্থকদের আনন্দে মেতে ওঠার।

আর্জেন্টিনার চোখ শিরোপায়, নেইমাররা ঘরে ফেরার অপেক্ষায়!
গোলের আগমুহুর্তে..

এক গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু। ৭৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লিওনেল মেসির গোলে ব্যবধানটা ২-০ হয়েছে। দুই দলের খেলার ধরণ অনেকটাই একইরকম হওয়াতে খুব স্বাভাবিকভাবেই খেলা এগিয়েছে একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে। আর তাতেই দুই দলের সামনেই তৈরী হয়েছে গোলের সুযোগ। ৮৩তম মিনিটে তেমনই একটা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে নেদারল্যান্ডস।

মাত্র এক গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা, খেলার তখনও সাত মিনিট বাকি। কি হবে ফলাফল তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দুই দল! নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলার সাথে অতিরিক্ত ১০ মিনিট, দুশ্চিন্তা বেড়েছে খেলোয়াড় থেকে ভক্ত-সমর্থক সকলের। রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা।

যোগ করা ১০ মিনিট পেরিয়েছে, শেষ বাঁশি রেফারি বাজাতে চললো বলে! এমন মুহুর্তেই আর্জেন্টিনার জালে দ্বিতীয়বারের মতো বল! ডাচদের অবিশ্বাস্য এক মুহুর্ত এনে দিয়েছেন ভাউট ভেগহর্স্ট। ৭৮তম মিনিটে মেমফিস ডিপের বদলি হিসেবে নেমে ভেগহর্স্ট বদলে দেবেন পুরো ম্যাচের চিত্রটাই, এমনটা কে ভেবেছিল!

আর্জেন্টিনার চোখ শিরোপায়, নেইমাররা ঘরে ফেরার অপেক্ষায়!
৭৮তম মিনিটে নেমে করেছেন দুই গোল!

নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলের সমতা, স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোলের দেখা পায়নি কেউই। টাইব্রেকার শুরু হবে, স্নায়ুর পরীক্ষা। যেখানে স্নায়ুচাপ সামলাতে ব্যর্থ ডাচরা। প্রথম দুই শট থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেনি একটাও; টাইব্রেকার শেষে তাই আর্জেন্টিনার জয় ৪-৩ ব্যবধানে।

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার সব উদযাপন যেন মেসিকে ঘিরে। বোঝার বাকি নেই, পুরো দল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিতে কতটা মরিয়া! অপরদিকে, নক আউট পর্বের পরিচিত দৃশ্য; মেসিরা যখন উদযাপনে মত্ত, নেদারল্যান্ডেের খেলোয়াড়রা তখন কান্নাভেজা চোখে! যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না বেজে গেছে বিদায়ঘন্টা! এবার ফিরতে হবে ঘরে; সঙ্গী ব্রাজিল, যাদের সাথে কি না ‘হলেও হতে পারতো’ সেমিফাইনালে দেখা!

Advertisement
Share.

Leave A Reply