বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ মানেই এখন অন্যরকম উত্তেজনা। এই যেমন চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুইশর ওপর রান করেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ হেরে যায় ৩ রানে।
সিরিজে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। হেসেখেলে লঙ্কানদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। এবার নিজেদের এক নতুন ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে নাজমুল হোসেন শান্তরা।
আজকের এই দিনে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের আরেক ইতিহাস লিখিত হয়েছিলো। এই দিনে ১৫ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরির সুবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাত উইেকটে ২৭৫ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
উত্তেজনার আগুন আবারও জ্বলে উঠতে পারে আজ শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু এই ম্যাচটি আবার পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। লড়াইটা তাই হবে মরণপণ।
শুধু সিরিজ জয় নয়, বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি আরও একটি কারণে মহাগুরুত্বপূর্ণ। লঙ্কানদের বিপক্ষে অনেক দ্বৈরথ জিতলেও কখনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা হয়নি। এবার টাইগারদের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি।
গত দশ বছরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে কোনো সিরিজই জিততে পারেনি তারা। এবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে দেখছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আগের ম্যাচে আমরা যেভাবে ব্যাটিং-বোলিংয়ে আমাদের পরিকল্পানগুলো বাস্তবায়ন করেছি, এক কথায় সেটাকে নিখুঁত বলা যায়। আমরা এই সিরিজ জয়ের পথেই আছি। কিন্তু সিরিজ জিততে হলে আমাদের অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এখানে অনেক কিছু সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা আমাদের ম্যাচের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমাদের সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, শ্রীলঙ্কা ভালো টি-টোয়েন্টি দল।’
