বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সেখানে ভোর থেকেই ভোট দিতে আসা মানুষের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
গত ৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যেখানে মেয়র পদে লড়ছেন সাত জন প্রার্থী।
এরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াত আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কিন্ত নির্বাচনের মাঠ গরম করে রেখেছে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াত আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে এই দি প্রার্থী বার বার আলোচনায় এসেছে।
এদিকে সকাল সাড়ে আটটায় নগরের মাসদাইর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল (এম এ) মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। আমি লক্ষাধিক ভোটে জিতব।’
তৈমুর আলম খন্দকার ভোটকেন্দ্রে আসার পরপরই এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় লক্ষ করা যায়। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ভোট কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। তবে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট দিতে পারছে না। অনেকে ফিরে যাচ্ছে। এসময় তিনি আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে তিনি আহ্বান জানান।
এসময় বহিরাগতদের নগরে ঢুকতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, এ নিয়েও বেশ প্রশংসা করেন তৈমুর।
ভোট দেওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে পরিস্থিতি দেখে তিনি আবার প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানান তৈমুর।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে তৈমুর আলমের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে গত দুই বারের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র ও কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। প্রচারণার ১৮ দিনের কোথাও কোন সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ২০ লাখ লোক বাস করে। এদের মধ্যে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। যেখানে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন।
