হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে হলে দেখাতে হবে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকার সনদ। অন্যথায় গুনতে হবে জরিমানাসহ নানা শাস্তি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ায় জানুয়ারির শুরুতেই এ বিষয়ে কঠোর ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার ২০দিন পর মাঠ পর্যায়ে টিকা সনদ দেখানোর নির্দেশনা কতটা মানছেন ক্রেতা ও হোটেল মালিকেরা। রাজধানীর কয়েকটি রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখা গেল, মালিকেরা বলছেন, ‘ক্ষুধার্ত কাউকে যেমন ফিরিয়ে দেওয়া যায়না, তেমনি করোনা টিকার সনদ চাইলে অনেক ক্রেতাই খেতে বসতে চাইছেন না, রেগে যাচ্ছে, হচ্ছে পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায়, বিক্রিবাট্টা অর্ধেকে নেমে এসেছে।’
রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে আসা প্রত্যেক ক্রেতার কাছে সনদ চাওয়া বাস্তবসম্মত নয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সমিতির প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমীন বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘করোনাকালে এম্নিতেই ক্রেতার অভাবে লসে আছেন ব্যবসায়ীরা, তার মধ্যে সনদ চাইতে গেলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা, ক্রেতারা আর আসতেই চাইবেন না, এতেকরে পথে বসবে হোটেল ব্যবসায়ীরা।’
তিনি বলেন, ‘হোটেলে খেতে আসা অধিকাংশ মানুষই খেটে খাওয়া বা সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। তাদের কাছে টিকার সনদ দেখতে চাওয়া কঠিন। সনদ দেখানোর প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করতে সরকারের কাছে এরইমধ্যে আবেদন জানিয়েছে সমিতি।’
ভ্যাকসিন সনদ যাচাই পুরোপুরি সম্ভব না হলেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার পরিবেশনের বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেতন থাকার কথা জানিয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিকেরা।