গত বছর থেকে গোটা পৃথিবীতেই পর্নোগ্রাফি দেখার হার অনেক বেড়ে গিয়েছে। করোনা মহামারির কারণে ঘরবন্দি থাকার ফলে বেড়েছে নেটমাধ্যম বা অনলাইনে সময় কাটানোর প্রবণতা। আর একারণেই পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তিও বেড়েছে।
পর্নোগ্রাফি অতিরিক্ত দেখার ফলে কোনও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে কি? অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফির কারণে নানা বয়সের মানুষের মধ্যে আলাদা আলাদা সমস্যার পরিমাণ বাড়ছে। ‘বয়ঃসন্ধির অনেকেরই পড়াশোনা নষ্ট হচ্ছে। খিটখিটে হয়ে যাচ্ছেন তারা। বাবা-মা বা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। অন্য কোনও কাজে এই সময় ব্যয় করলে হয়তো এতটা সমস্যা হত না। কিন্তু পর্নোগ্রাফির আসক্তি হয়ে যাওয়ার ফলে, সেটি দেখার সময়ে বাধা পড়লেই মন তিক্ত হয়ে যাচ্ছে।’
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এমন মানুষও আছেন, পর্নোগ্রাফির প্রতি এত আসক্ত হয়ে পড়েছেন, অন্য কোনও কাজ করতে পারছেন না। তাই চাকরি চলে গিয়েছে।
আসক্তির কারণে যৌনচাহিদায় বড়সড় বদল আসে। যে সম্পর্কগুলি আগে খুব স্বাভাবিক ছিল, তাতে আর মন ভরে না। ফলে যৌনসম্পর্কের অবনতি হয়, সম্পর্কে ভাঙন ধরে।
মুক্তির উপায়
১। প্রতিদিন কত ক্ষণ কাটাচ্ছেন পর্নোগ্রাফি দেখে, সেটা লিখে রাখুন। নিজের চোখেই ধরা পড়বে আসক্তির পরিমাণ।
২। এমন কিছু করুন, যাতে মজা পাবেন। গান শুনুন, সিনেমা দেখুন। এক বারে আসক্তি কাটে না। আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন অন্য কিছুর মধ্যে মজা খুঁজে।
৩। বন্ধু বা আত্মীয়দের মধ্যে যাঁদের সঙ্গে এই আসক্তি নিয়ে কথা বলা যায়, তাঁদের জানান। তাঁরা সাহায্য করবেন।
৪। পেশাদার মনোবিদরা এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারেন।