fbpx

কৃষকদের কীসে মঙ্গল, সেটা আমরা ভালোভাবে জানি: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার কাছে কৃষকের জন্য নতুন নতুন দাবি তোলার কোনো দরকার নেই। কেননা তিনি কৃষকদের সব সময় সম্মানের চোখে দেখেন, তাদের মঙ্গলের জন্য সব সময় সিদ্ধান্ত নেন।

বুধবার ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে কৃষক লীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি কৃষক লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, করোনাকালীন তারা যেমন ধান কেটে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, এবারও যেন তাদের পাশে দাঁড়ান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকই দেশের প্রাণশক্তি। তাদের কল্যাণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষকের জন্য নতুন নতুন দাবি তোলা লাগবে না। দেশের কৃষকদের জন্য কীসে মঙ্গল সেটা আমরা ভালোভাবে জানি। সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। বাংলার কৃষকই আমাদের প্রাণ শক্তি। কারণ, মনে রাখতে হবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষক ফসল উৎপাদন করে। সেটা খেয়ে কিন্তু সবার জীবন বাঁচে। কাজেই সেই কৃষক আমাদের কাছে অনেক সম্মানের।’

সার পেতে কৃষকের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০০৯’ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষকের ঘরে সার পৌঁছৈ যাবে। কৃষক সারের পেছনে দৌড়াবে না। সার কৃষকের ঘরে পৌঁছে যাবে। যে ঘোষণাটা আমরা দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন,‌’সারের দাম চার দফা কমানো হয়েছে। প্রতি কেজি ইউরিয়া ১৬ টাকা, টিএসপি ২২ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা এবং এমওপি ১৫ টাকা করা হয়েছে, সেটা অব্যাহত রেখেছি। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে।’

কৃষকরাও শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল পাচ্ছেন। কৃষক শুধু ফসল উৎপাদন করবে না, তার ন্যায্য মূল্যটা যেন সে পায়- তার ব্যবস্থাটাও কিন্তু আমরা করে দিয়েছি, জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply