fbpx

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৪০০ রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রুশ বাহিনীর দখলে থাকা দোনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দিয়েছে এ খবর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন বাহিনী দোনেৎস্কের মাকিভকা শহরে রুশ বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলা চালায়। তবে ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।

এদিকে গতকাল রবিবার রাত থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিমান হামলার সতর্কতা সংকেত কার্যকর করা হয়। সেখানে রুশ বাহিনীর সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে।

দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার কর্মকর্তা দানিল বেজসোনভ বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনের মধ্যরাতে মাকিভকা অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। মার্কিন হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্রের এ আঘাতে একটি ভোকেশনাল স্কুল উড়ে যায়। এ হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এখনো অজানা।

বেশ কয়েকজন রুশ ভাষ্যকার ও ব্লগারের পক্ষ থেকেও এই হামলার ঘটনাটি স্বীকার করা হয়েছে। তবে তাঁরা বলছেন, এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ইউক্রেনের দাবি করা সংখ্যার চেয়ে অনেক কম।

রুশ উপস্থাপক ভ্লাদিমির সলোভোভ তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হলেও তা কখনোই ৪০০-এর কাছাকাছি হবে না। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের হামলায় ৪০০ রুশ সেনা নিহতের পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে।

দোনেৎস্কে রাশিয়ার নিয়োগ করা প্রশাসন বলেছে, নতুন বছরের প্রাক্কালে দোনেৎস্কে অন্তত ২৫টি রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে মাকিভকা অঞ্চলে হামলার পরপরই কিয়েভে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো শুরু হয়।

কিয়েভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেস্কি কুলেবা বলেন, ‘কিয়েভ অঞ্চলে বিপদ চলছেই। আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলাস্থলে কাজ করছে। সতর্কতা সংকেত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শান্ত ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকাটাই মূল বিষয়।’ তিনি অভিযোগ করেন, কিয়েভে হামলায় রুশ বাহিনী ইরানের শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করছে। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দেসনিয়ানস্কি এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

এর আগে নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ জয়ের প্রত্যয় জানান এবং এ বছরের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার কথা বলেন। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply