fbpx

চা-কফির আসক্তি কমানোর উপায়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এক কাপ চা বা কফি দিয়ে আমাদের বেশিরভাগের প্রতিদিনের সকাল শুরু হয়। এই দুই পানীয় ছাড়া সকাল যেন অসম্পূর্ণ।প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন শরীরের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়, যা ৪-৫ কাপ কফি বা চা খেলেই পূরণ হয়ে যায়। ক্যাফেইন সজাগ ও মনোযোগী রাখে। তবে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন হতে পারে অস্থিরতা ও উদ্বেগের কারণ। এটি কেড়ে নিতে পারে রাতের ঘুমও।তবে চাইলে কমিয়ে ফেলতে পারেন চা ও কফির প্রতি আসক্তি। চা-কফি প্রতি আসক্তি কমানোর  উপায় জেনে নেই-

চা-কফির আসক্তি কমানোর উপায়

বিকল্প কিছু পান করুন

চা বা কফি পান করতে মন চাইলে তার বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু পান করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা রয়েছে সেগুলো পান করতে পারেন। এগুলো হজমেও সহায়তা করে। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যারা কফিপ্রেমি তারা ক্যাফেইন এড়াতে ডি-ক্যাফেইনড কফি পান করতে পারেন।

চা-কফির আসক্তি কমানোর উপায়

ছোট কাপ বা মগে অভ্যস্ত হওয়া

হঠাৎ করে ক্যাফেইন গ্রহণ একেবারে ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে দৈনিক পানের মাত্রা কমানোর চেষ্টা করাই ভালো।এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে আকারে ছোট মগ বা কাপ বাছাই করা যেতে পারে অথবা অর্ধেক কাপ চা বা অর্ধেক মগ কফি পান করা যেতে পারে।

 

ক্লান্তি দূর করতে পাওয়ার ন্যাপ

ক্যাফেইন গ্রহণ করা থেকে বিরত আছেন। তাহলে ক্লান্তিটা প্রচণ্ড ভোগাচ্ছে। সেক্ষেত্রে পাওয়ার ন্যাপ দিন। পাওয়ার ন্যাপ দিলে ক্লান্তিটা দূর হবে। তবে বসে থেকে ঘুমাবেন না। তাহলে ঘাড় বা পিঠ ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চা-কফির আসক্তি কমানোর উপায়

ব্যায়াম

দিনে স্বল্প দূরত্বে দৌড়ানো বা হাঁটার অভ্যাস করলে ক্যাফেইন গ্রহণের মাত্রা কমালেও জেগে থাকা সহজ হবে। ক্লান্তি কমাতে ও শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এটি। ক্যাফেইনের আকাঙ্ক্ষা কমানোর ভালো উপায় হিসেবেও কাজ করবে ব্যায়াম।

চা-কফির আসক্তি কমানোর উপায়

প্রচুর পানি পান করুন

দিনে প্রচুর পানি পান করুন। চায়ের বদলে ঘন ঘন পানি খেলে চা খাওয়ার অভ্যাসটা একটু কমানো যায়। তাছাড়া পানি খেলে গরমে সুস্থও থাকতে পারবেন।

 

 

চা-কফির আসক্তি কমানোর উপায়

গরম পানি ও লেবু 

আপনি সকালে যখনই উঠুন চা-কফির পরিবর্তে গরম পানি এবং লেবু দিয়ে দিনের শুরুটা করতে পারেন। এতে ভিটামিন-সি পাবেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সেইসঙ্গে হজমেও সাহায্য করে। তবে খালি পেটে এই পানীয় পান করবেন না। সকালের খাবারের পর খেতে পারেন।

 

খাবারের তালিকায় ভারসাম্য আনুন

খাবারের তালিকায় ভারসাম্য রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। খাবারে তালিকায় পুষ্টিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ঠিক রাখতে হবে। যা আপনার শরীরে শক্তি প্রদান করবে। যার ফলে শরীর সতেজ থাকবে। চা-কফির প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply