fbpx

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪১,০০০ ছাড়িয়েছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা শুক্রবার ৪১,০০০ ছাড়িয়েছে। ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ ১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার আবেদন করেছে৷ গত ১০০ বছরের মধ্যে ১০টি সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের একটি তুরস্ক ও সিরিয়ার এই ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের এগারো দিন পর তুর্কি উদ্ধারকারীরা ১৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং ২০ বছর বয়সী এক মহিলাকে ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে এনেছে৷

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের নিকটবর্তী শহর কাহরামানমারাসে আলেনা ওলমেজকে উদ্ধারে অংশ নেওয়ার পর কয়লা খনি শ্রমিক আলী আকদোগান বলেন, ‘তিনি ভালো স্বাস্থ্যে আছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি চোখ খুললেন এবং বন্ধ করলেন।’

কিন্তু জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা অনেকাংশে ম্লান হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে অনেকেই একটি মারাত্মক জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে। তারা খাবার, পানি এবং টয়লেট ছাড়াই ঠান্ডায় হিমায়িত অবস্থায় রয়েছেন, এতে রোগব্যাধি ছড়িয়ে আরও বিপর্যয়ের আশংকা বাড়িয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য তহবিলের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রয়োজনগুলো প্রচুর, মানুষ ভুগছে এবং সময় নষ্ট করার অবকাশ নেই।’

তিনি বলেছেন, সহযোগিতার আহবানের অর্থে ৫.২ মিলিয়ন মানুষকে তিন মাসের জন্য মানবিক ত্রাণ সরবরাহ দেয়া হবে।
তিনি যোগ করেছেন, এই অর্থ খাদ্য নিরাপত্তা, সুরক্ষা, শিক্ষা, পানি এবং আশ্রয়ের ক্ষেত্রে ‘সহায়তা সংস্থাগুলোকে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে’।

‘আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিক্রিয়ায় আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সহায়তা প্রচেষ্টা এগিয়ে নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা বলেছেন, ৬ ফেব্রুয়ারির ভূকম্পনে তুরস্কে ৩৮,০৪৪ জন এবং সিরিয়ায় ৩,৬৮৮ জন মারা গেছে, যা নিশ্চিতকৃত মোট সংখ্যা ৪১,৭৩২-এ পৌঁছেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকম্প অঞ্চলগুলোর মধ্যে তুরস্কের একটি জনবহুল এলাকায় এই ভূমিকম্প এমন সময়ে আঘাত করেছিল যখন অনেকেই বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। এসব বাড়িঘর শক্তিশালী ভূকম্পন প্রতিরোধ করার মতো করে তৈরি করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার রেড ক্রস তার জরুরি তহবিল তিনগুণ বাড়িয়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তার আহবান জানিয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply