fbpx

না জেনে লিভারের সমস্যা করছি না তো!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে লিভার। লিভারের মূল কাজ হচ্ছে শরীরে জমে থাকা টক্সিনগুলোকে বের করে দেয়া। তাইতো লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট হলে টক্সিন শরীরেই থেকে যাবে। আর শরীরের একের পর এক সমস্যা দেখা দেয়।

জেনে অবাক হবেন যে, আমাদের প্রতিদিনের কিছু বদভ্যাসই লিভারের ক্ষতি হওয়ার মূল কারণ। কিছু বদভ্যাসের ফলেই লিভারের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ ব্যহত হয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে হলে লিভারের যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি।

অনেকেই ভেবে থাকেন শুধু মদ্যপান করলেই লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। তবে শুধু মদ্যপানই না আরও অনেক খাবার আছে যা লিভারের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ। আর জেনে অবাক হবেন যে আমরা এই খাবারগুলো প্রতিনিয়ত খাচ্ছি।

অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ গ্রহণ লিভারকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমনকি লিভার ফেইলরের দিকেও নিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে লিভারের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।

মদ্যপানের মত ধূমপানেও লিভারের ক্ষতি হয়। সিগারেটে উপস্থিত রাসায়নিকগুলো লিভারে পৌঁছয় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে এবং এর ফলে তৈরি হওয়া ফ্রী ব়্যাডিকেলস লিভারের কোষগুলোর ব্যাপক ক্ষতি করে।

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার, প্রসেসড ফুড, ফ্যাটি ফুড লিভারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবারের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের উৎস। এগুলো লিভারকে সুস্থ রাখে। তাছাড়া, অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা খাবার-দাবার খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর!

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব লিভারে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে, যা লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই লিভারের যত্ন নিতে রোজ অন্ততপক্ষে টানা ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকেই দীর্ঘসময় পর্যন্ত খালি পেটে থাকেন। এই অভ্যাস লিভারের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে যদি এই রকম অনিয়ম চলে, তাহলে লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply