fbpx

নিয়মিত শরীরচর্চা কমিয়ে আনে বিষণ্ণতা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হতাশা, উদ্বিগ্নতা আর অন্যান্য মানসিক সমস্যা ঘর বেধেছে বহু মানুষের জীবনে। মানসিক বা শারীরিকভাবে অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যেকোনো মানুষের জীবনে যেকোনো কারণে যেকোনো সময়ে মানুষ হতাশ অথবা বিষণ্ণ হতে পারে।

 

ওষুধ বা থেরাপি নয়, আজ বলবো মানসিক সমস্যাগুলোকে কমিয়ে আনার একদম ভিন্ন এক উপায়ের কথা। প্রতিদিন যদি নিয়ম মেনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেন তাহলে বিষন্নতা থেকে দূরে থাকা যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ভাবে এই ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করেন তাঁদের জীবন থেকে বিষণ্ণতা ৭৫ মিনিট কমে যায়।

নিয়মিত শরীরচর্চা কমিয়ে আনে বিষণ্ণতা

 

শরীরচর্চা মানুষের শরীরে এন্ডোরফিন নামে রাসায়নিকগুলো বাড়ায় যা আমাদের ভালো থাকার অনুভূতি বৃদ্ধি করে। এটি হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনতে পারে।

 

গবেষণায় পাওয়া তথ্যানুযায়ী, শরীরচর্চা নিজের ক্ষতি না করে বা অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে যতটা করা যায় ততটাই আমাদের মানসিক অবস্থার জন্য ভালো। যেমন- ধীরে হাঁটার চেয়ে একটু জোরে হাঁটা, কম সময়ে না করে মোটামুটি ৬-১২ সপ্তাহ শরীরচর্চা করা- এই সবকিছুই মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। তবে তার মানে এই নয় যে আপনি আপনার শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন। কারণ, অতিরিক্ত চাপ একসময় আপনার শরীর এবং সেখান থেকে প্রভাবিত হয়ে মনকেও নানারকম সমস্যায় জর্জরিত করবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা কমিয়ে আনে বিষণ্ণতা

 

দৌড়ালে কমে বিষণ্ণতা। তবে শুধু যে একদিন দৌড়ালেই আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে কিংবা আপনি ডিপ্রেশনের কারণগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন তা নয়। তবে এই এক্সসারসাইজ আপনাকে সুস্থ থাকতে অনেকাংশে সাহায্য করবে। কারণে দৌড়ালে এটি পেশি তৈরির পাশাপাশি হার্ট ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। অন্যদিনে, দৌড়ালে শরীরে ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো সুখী হরমোন নিঃসরণকে হয় এবং কর্টিসলের মাত্রা হ্রাস করে, যা একটি স্ট্রেস হরমোন। এতে আমাদের মন-মেজাজ অনেকটা পরিমাণে ভাল হয়ে যায়।

 

 

যোগব্যায়াম হল দৌড়াদৌড়ি ছাড়াই করা সেরা শারীরিক কার্যকলাপ। শরীরের বিভিন্ন ভঙ্গি, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং ধ্যান আপনার মনের পাশাপাশি শরীরের উপর কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা মানসিক চাপ দূর করতে মেডিটেশনেরও পরামর্শ দেন। মাত্র আধ ঘণ্টা যোগব্যায়াম করার সঙ্গে সঙ্গেই, আপনি ভাল অনুভব করবেন এবং আপনি যখন এটি প্রতিদিন করা শুরু করবেন, তখন এর প্রভাব দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার ওপর দেখা যাবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা কমিয়ে আনে বিষণ্ণতা

পেশি গঠনে অনেকেই ওয়েট লিপটিংয়ের সাহায্য নেন। কিন্তু জানেন কি সামান্য মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার লক্ষণগুলিও ওয়েট লিপটিং মাধ্যমে মোকাবেলা করা যেতে পারে। ওয়েট লিপটিংয়ের সময়, পুরো ফোকাস হাত এবং শরীরের দিকে থাকে এবং অন্যান্য বিষয়গুলি উপেক্ষা করা হয়। বাকি ওয়েট লিপটিং পেশীগুলিকে টোনড এবং শক্তিশালী করে তোলে। সব মিলিয়ে শরীর ফিট দেখা যায়। এতে মানসিক চাপ অনেক পরিমাণে কমে যায়।

 

শুধু ব্যায়ামের ওপর নির্ভরশীল হলেই চলবে না। একটি সুস্থ জীবন যাপনের জন্য একটি নিয়মিত রুটিন আমাদের সবারই অনুসরণ করতে হবে। নিয়ম মেনে চলা অভ্যাসের পরিণত করতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা কমিয়ে আনে বিষণ্ণতা

মানসিক সমস্যার যে গৎবাঁধা সমাধানগুলো আছে চারপাশে সেগুলোর সাথে তুলনা করলেই এই সহজ হিসেবটা বের করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা অন্যান্য ওষুধ বা কাউন্সিলিং-এর মতো উপায়ের চাইতে মানসিক সমস্যা দূর করতে ১.৫ গুন বেশি কাজ করে। এছাড়াও পাশাপাশি আছে সবচেয়ে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আর কম খরচে শারীরিক কাঠামো ঠিক করার দারুণ সুযোগও। যেটা কিনা দীর্ঘমেয়াদে আপনার হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম আর হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও সাহায্য করবে।

 

প্রতিটি দিন আমাদের নিজেদের। তাই কোনো কারণে একটি দিন নষ্ট করলে জীবন থেকে অনেকটা সুন্দর সময় নষ্ট হয়ে যাবে। তাই জীবনকে সুন্দর সহজ সরল করার জন্য কিছু ভালো অভ্যাস করাই যেতে পারে।

 

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply