fbpx

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিরোধিতাকারীরা যাতে কোন রকম ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সে জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল বাহিনীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৫ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মত এতো বড় একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছি। কিন্তু যারা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল তাদের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। যার কিছু কিছু তথ্যও আমরা পেয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, এমন একটা ঘটনা ঘটানো হবে যাতে ২৫ তারিখে আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে না পারি। বিরোধিতাকারীরা কী করবে তা কিন্তু আমরা জানি না।‘

অনুষ্ঠানে উপস্থিত তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপি প্রধানদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। সমস্ত বিষয়টাই একটু রহস্যজনক। এ জন্য সবাইকে বলবো একটু সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দিকেও সবাইকে নজর দিতে হবে। সেগুলোর নিরাপত্তা দিতে হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সঙ্গে না মিশলে একজন রাজনীতিকের অবস্থা ‘জলের মাছ ডাঙায় ওঠার’ মতো হয়। এজন্য যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি জনগণের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসএসএফ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) যেন সরকারপ্রধানকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে না ফেলে, সে বিষয়ে এ বাহিনীর সদস্যদের খেয়াল রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। জনগণের সাথে একটু কথা বলা, জনগণের সাথে একটু মেশা, এটাই একমাত্র কাজ। এটাই আমাদের শক্তি। আর কোনো শক্তি কিন্তু নেই। এই জনগণই আমাদের প্রাণশক্তি। তাদের জন্যই রাজনীতি। কাজেই আমি শুধু ওইটুকু চাই যে, মানুষ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না হই বা মানুষ যেন আমার কাছে আসতে কোনো আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।‘

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলে যখন ছিলাম, মানুষকে কী দিতে পেরেছি, একটু কথা, একটা আস্থা বা মানুষের বিশ্বাস অর্জন। সেই জনবিচ্ছিন্ন যেন না হয়ে পড়ি, এটা একটু দেখতে হবে।‘

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার পরও তার জীবন যাপনের ধরনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার কাছে ক্ষমতার অর্থ, জনগণের জন্য কাজ করব, জনগণের কল্যাণ করব, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করব। যেটা আমার বাবা শিখিয়েছেন, মা শিখিয়েছেন, সেটাই আমরা করব।

কাজেই, আমি শুধু ওইটুকু চাই যে, মানুষ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না হই, বা মানুষ যেন আমার কাছে আসতে যেয়ে কষ্ট না পায়, সেদিকে একটু সবাইকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আমার অনুরোধ থাকবে। এইটুকুই চাই, নইলে শেষে আমরা ওই যে জলবিহীন মাছের মতো নিজে কষ্ট পাবো বলেও জানান সরকারপ্রধান।

এসএসএফ-এর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যেসব বিদেশি অতিথি আসেন, তারা এ বাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি নিজেও এ বাহিনীর পারদর্শিতা দেখে গর্ব বোধ করেন।

কাজেই, এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে, পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা, সততা, শৃঙ্খলা সবকিছু মেনেই চলতে হবে। আমাদের এসএসএফ সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন বলেও জানান তিনি।

এসএসএফ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন, সেজন্য তাদের ‘দোয়া’ করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমার ছেলে-মেয়ের জন্য যেমন দোয়া করি, নাতি পুতির জন্য যেমন দোয়া করি, তেমনি ঠিক সেই রকমভাবে আমার সাথে যারা কাজ করেন, প্রত্যেকের জন্য আমি দোয়া করি। এসএসএফের জন্য বিশেষ করে দোয়া করি। যেন আমার কারণে যেন কেউ কোনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা আমার নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা সব সময় আমি চিন্তায় রাখি।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply