বিপিএলের নবম আসরে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরের প্রথম জয় তুলে নিলো ফরচুন বরিশাল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আবারও আলোচনার শীর্ষে সাকিব। বরিশালের ইনিংস শুরুর কিছুক্ষণ আগেই মাঠে ঘটে এক বিতর্কিত ঘটনা। হঠাৎ করেই মাঠে ঢুকে পড়েন সাকিব। যার জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধও থাকে।
রংপুরের দেয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে শুরুতে ক্রিজে আসেন এনামুল হক বিজয় এবং চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। প্রথমে দেখা যায় বল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান। যা দেখে স্ট্রাইক নেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। এরপর আবার সিদ্ধান্ত বদলের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, বল তুলে দেন মেহেদি হাসানের হাতে। যার ফলে চতুরাঙ্গা ডি সিলভার জায়গায় এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার এতে রাজি হচ্ছিলেন না। তা দেখেই প্রতিবাদমুখী হয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন সাকিব।
এরপর দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং রবীন্দ্র উইমালসিরির সঙ্গে মিনিট তিনেক উচ্চ শরীরী ভাষায় কথা বলেন সাকিব। পরে শেখ মেহেদির বদলে বল করতে আসেন রাকিবুল এবং স্ট্রাইক নেন চতুরাঙ্গা।
মূলত খেলা চলার সময় অনুমতি ব্যতীত দুই ব্যাটার ছাড়া ব্যাটিং দলের কোনো খেলোয়াড় মাঠে ঢোকার অনুমতি নেই। তবে এই বিষয়ে ম্যাচ অফিশিয়ালদের কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।
সাকিব মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় বরিশালের ইনিংস। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার এনামুল এবং চতুরাঙ্গার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। কিন্তু এরপরই ৮৫ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান এবং মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ১০৩ রানে ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে আউট হন মিরাজ। এরপর দলীয় ১২৪ রানে ব্যক্তিগত ৫২ রানে ইব্রাহীম আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল। তবে করিম জান্নাত এবং ইফতিখার আহমেদের দারুণ ফিনিশিংয়ে ৬ উইকেটেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় তারা।
রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন সিকান্দার রাজা।