fbpx

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে নিয়ে কী বলছে পরিসংখ্যান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

একসময় ক্রিকেট প্রেমীরা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেটিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতো। বর্তমানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা যেনো সেই উত্তেজনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই দুই দল মাঠে মানেই ক্রিকেটের বাইরেও কিছু না কিছু ঘটনা ঘটেই থাকে। নিজেদের মতো করে লড়াই করে সমান তালে। নাগিন ড্যান্স থেকে টাইমড আউট সবই ঘটেছে এই দুই দল মাঠে নামলে। যা আলোচনার বিষয় হয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে।

তবে ব্যাট–বলের পরিসংখ্যানে শ্রীলঙ্কা – বাংলাদেশের তফাৎটা বেশ বেশিই বলা যায়। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। এরপর থেকে মাঝেমাঝেই জয় এসেছে বাংলাদেশের ভাগ্যে।

যদিও ২০১৮ সালের পর থেকে পরিস্থিতিতে আসে আমূল পরিবর্তন। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় লঙ্কানদের ছিটকে ফেলেছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড় থেকে। যতই দিন গড়িয়েছে এই দুই দলের লড়াইয়ে উত্তাপ ততই মাত্রা ছাড়িয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় চটগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আবারও দুই দল মুখোমুখি হবে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ আজ। এই ম্যাচের আগে ফর্ম নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তা থাকলেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন বাংলাদেশ দলের সমর্থকরা।

এখন পর্যন্ত দুই দল একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছে ৫৪ বার। তাতে ১০ জয় বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৪২ ম্যাচে। আর বাকি ২ ম্যাচে আসেনি কোনো ফল।

তবে নিজেদের মাটিতে রেকর্ড খানিকটা ভাল টাইগারদের জন্য। ২০ ম্যাচের মধ্যে ৬ ম্যাচে জয় এসেছে। ১৪ ম্যাচ জিতেছে লঙ্কানরা। দুই দলের সবশেষ দেখা ছিল বিশ্বকাপে। যেখানে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে জয় পায় টাইগাররা।

ওয়ানডেতে এর আগের ৯টি সিরিজের মাত্র একটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ সিরিজেই এসেছিল সেই সাফল্য। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। তাই বলা যায়, স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসের পারদ আজ উঁচু থাকবে বাংলাদেশের জন্য।

দুই দলের মধ্যেকার ৯টি সিরিজের ২টি হয়েছে ড্র। বাকি ৬ সিরিজের ট্রফি গিয়েছে লঙ্কানদের ঘরে।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চের ক্ষেত্রে ২০১৫ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিলকারত্নে দিলশান। বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মুশফিকুর রহিমের। ২০১৮ সালে দুবাইয়ে এশিয়া কাপে ১৪৪ রান করেছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

দুই দলের মুখোমুখি সূচিতে সবচেয়ে বেশি রান কুমার সাঙ্গাকারার। ৩১ ম্যাচে ১ হাজার ২০৬ রান করেছেন ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। আর দুইয়ে আছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। তার মোট রান ১ হাজার ৭২।

Advertisement
Share.

Leave A Reply