fbpx

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, হাবীবুল্লাহ সিরাজী আর নেই

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ২৫ মে সোমবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাত ১১টার দিকে ইন্তেকাল করেন তিনি।

জানা যায়, ক্লোন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী। ২৫ এপ্রিল থেকেই শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একুশে পদক প্রাপ্ত এই কবি।

২০১৮ সালে তাকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয় সরকার। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন প্রকৌশলী। পাশাপাশি লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন একাধারে তিনি কবিতা, উপন্যাস, শিশু সাহিত্য লিখেছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলায় জন্ম নেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তারপর ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে,  ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ‘সিংহদরজা’, ‘বেদনার চল্লিশ আঙুল’, ‘ম্লান, ম্রিয়মাণ নয়’, ‘বিপ্লব বসত করে ঘরে’, ‘ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’, ‘সুগন্ধ ময়ূর লো’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘মুখোমুখি: তুচ্ছ’, ‘স্বনির্বাচিত প্রেমের কবিতা’, ‘হ্রী’, ‘কতো আছে জলছত্র’, ‘কতোদূর চেরাপুঞ্জি’, ‘কাদামাখা পা’, ‘ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই’, ‘একা ও করুণা’, ‘যমজ প্রণালী’, ‘আমার জ্যামিতি’, ‘পশ্চিমের গুপ্তচর’ ও ‘কবিতাসমগ্র’।

সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য আজ ২৫ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হবে সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজীর মরদেহ। সেখানে জানাজা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে আজিমপুর কবরস্থানে শেষ জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply