রায়ান বার্লের ব্যাট ভাঙাটাই বোধহয় কাল হয়ে দাঁড়াল! এরপর বাংলাদেশি বোলারদের ওপর যেই তান্ডব চালিয়েছেন জিম্বাবুয়াইন তারকা, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে টিম টাইগার্স। সবচেয়ে বেশি বোধহয় নাসুম আহমেদ, এক ওভারে চৌত্রিশ রান তো এর আগে আর কোনো ব্যাটসম্যান নিতে পারেনি তার বলে।
টানা চার বলে চার ছয়, স্বাভাবিকভাবেই নার্ভাস নাসুম। শেষ ম্যাচের ক্যাপ্টেনের সাথে এগিয়ে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও, দিয়েছেন পরামর্শ। তাতে পরের বলটায় অন্তত ছক্কা থেকে বেঁচেছেন নাসুম, হয়েছে চার। পরের বলেই কাভারের ওপর দিয়ে রায়ান বার্লের ছক্কা! ১৪ ওভারে ৭৬ থেকে ১৫ ওভারে ১১০!
টস শেষেই স্বাগতিক অধিনায়ক বলেছিলেন শুরু থেকেই করতে চান আক্রমণ। চেষ্টাও করেছেন, তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোটা গড়ে দিয়েছে পার্থক্য। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৫; পরের ৪ ওভারে মাত্র ১১, প্যাভিলিয়নে আরও ২ ব্যাটসম্যান।
সত্তরের আগেই জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে ৬ উইকেট, তারপরও ইনিংস শেষে সংগ্রহ ১৫৬! ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রায়ান বার্ল করেছেন ২৮ বলে ৫৪ রান, লুক জঙ্গুর সংগ্রহ ৩৫; দুজনকেই একই ওভারে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। টাইগারদের হয়ে সমান ২৮ রানে ২ উইকেট করে নিয়েছেন মাহেদি এবং হাসান।