fbpx

ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে ৮ দফা সুপারিশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদক থেকে শুরু করে পাইকারি বিক্রেতা, খামারি ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। যেখানে মুরগির দামের লাগাম টানতে আট দফা সুপারিশ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি, খরচসহ নানা কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কেজি হতে পারে। মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক থাকলেও তা করা হচ্ছে না। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে পাকা রশিদ বা ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ করা হয় না, ক্রেতাকে পাকা রশিদ দেওয়া হয় না, দোকানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ওজনে কম দেওয়া এবং পাইকারি ও খুচরা দামে বিস্তর ব্যবধান পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির ব্যয় করপোরেট পর্যায়ে ১৩৫-১৪০ টাকা। আর প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০-১৬০ টাকা। অথচ খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং এর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আটটি সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো-

১. ব্রয়লার মুরগির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে কোনোপ্রকার অনিয়ম কিংবা মনোপলি (একচেটিয়া) হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে অনুরোধ করা যেতে পারে।

২. বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে ব্রয়লার মুরগির যৌক্তিক মূল্যের বিষয়ে গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রদানের অনুরোধ করা যেতে পারে।

৩. প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে ব্রয়লার মুরগির মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ।

৪. পোলট্রি ফিড এবং মুরগির বাজারে অত্যধিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণ।

৫. কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী যেন অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে সমগ্র দেশে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বৃদ্ধি করা।

৬. বিভিন্ন বাজার কমিটি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে যেসব বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হবে না, সে ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এফবিসিসিআই কর্তৃক ওই বাজার কমিটিকে বিলুপ্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭. অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে রাজার অস্থিতিশীল করার প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৮. আসন্ন রমজানে পোলট্রির বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতর, সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে দেশব্যাপী নিবিড়ভাবে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা জোরদার করা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply