fbpx

ভিসিকে সরাতে ‘আলোকচিত্রে এক দফা’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের ছবি নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। গতকাল বিকালে ক্যাম্পাসে ‘আলোকচিত্রে এক দফা’ নামে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

অন্যদিকে আন্দোলন চললেও ক্যাম্পাসের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। করোনাকালীন অবস্থার কারণে শিফট করে অর্ধেক জনবলে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল, সভা ও ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সোমবার বিকাল ৫টা থেকে গোলচত্বরে ‘আলোকচিত্রে এক দফা’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ভিসির পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্তের নানা ছবি এখানে স্থান পায়। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

১৩ জানুয়ারি প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন শুরু করেন শাবিপ্রবির সিরাজুন্নেসা ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। সে সময় পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হন। ঘণ্টা তিনেক পর অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করেন পুলিশের ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের সদস্যরা। সংঘর্ষের পর শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

১৬ জানুয়ারি রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়। নির্দেশনার পর কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়ে গেলেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে থেকে যান।

১৯ জানুয়ারি থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৬ জানুয়ারি ভোর ৪টার দিকে জাফর ইকবাল দম্পতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে অনশন ভাঙেন। দাবি মানার আশ্বাসের পর থেকে শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে এলেও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply